‘মাথা’ নিয়েই বড় ব্যথা কংগ্রেসের

বিরক্ত কংগ্রেসের এক নেতা বললেন, ‘‘দল চলছে। কিন্তু এ ভাবে তো চলতে পারে না। অথচ রাহুল গাঁধীর উত্তরসূরি নিয়ে কোনও ঐকমত্যই হচ্ছে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ০২:১৯
Share:

রাহুল গাঁধীর উত্তরসূরির দেখা নাই, কংগ্রেস চলছে নিজের নিয়মেই।

Advertisement

কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে রাহুল ইস্তফা দিলেও পরবর্তী সভাপতি বাছাই না হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই পদ সামলাচ্ছেন। নানা রাজ্যে নিয়োগও হচ্ছে তাঁর নামে। সনিয়া গাঁধী সামলাচ্ছেন সংসদ, এমনকি ‘দল’ও। কর্নাটকের সঙ্কট মেটাতে নেতাদের পাঠাচ্ছেন দিল্লি থেকে। আর প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ব্যস্ত উত্তরপ্রদেশ নিয়ে। সে রাজ্যের জন্য খুঁজছেন নতুন সভাপতি।

বিরক্ত কংগ্রেসের এক নেতা বললেন, ‘‘দল চলছে। কিন্তু এ ভাবে তো চলতে পারে না। অথচ রাহুল গাঁধীর উত্তরসূরি নিয়ে কোনও ঐকমত্যই হচ্ছে না।’’ এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে কংগ্রেস সাংসদদের একটি দল সনিয়া গাঁধীর কাছে ফের গিয়ে আবেদন করেন অন্তর্বর্তী সভাপতির দায়িত্ব নিতে। এবং আবার ‘না’ সনিয়ার।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে দলের এক শীর্ষ নেতা প্রস্তাব দিয়েছেন, ‘‘ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে অন্তত ভোটমুখী রাজ্যগুলির জন্য সংশ্লিষ্ট সাধারণ সম্পাদকদের হাতে পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক। যাতে সে রাজ্যে ভোটের জন্য সব রকম সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে পারেন। আর রাহুল গাঁধী রাজি না হলে নতুন সভাপতি নিয়ে ভোটাভুটি হয়ে যাক।’’ রাহুলের উত্তরসূরি বাছার জন্য গত দু’সপ্তাহে কংগ্রেসের মধ্যে যে তৎপরতা ছিল, এখন তা অনেকটাই ঢিলে। কর্নাটকের সঙ্কট না কাটা পর্যন্ত জাতীয় স্তরেও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না নেতারা। আরও অসুবিধা হচ্ছে, কোনও নাম নিয়ে গাঁধী পরিবারের কাছে গেলেই তারা পত্রপাঠ বিদায় জানাচ্ছে। এই অবস্থায় দলের নেতারা মনে করছেন, সংসদের অধিবেশন শেষের দিকেই কিছু একটা হবে।

দলের আর একটি শিবির অবশ্য এখনও আশায়, রাহুলকে রাজি করানো যাবে। এখনও তিনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আজ টুইট করে অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, মিজোরামে বন্যার জন্য দলের কর্মীদের মানুষের পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, ‘‘এই নির্দেশ তো রাহুল আসলে সভাপতি হিসেবেই দিচ্ছেন। তিনি মুখে না বলুন, পদ থেকে ইস্তফা দিন, মানসিক ভাবে তিনি সভাপতির ভূমিকাই পালন করছেন।’’

রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কাও নিরন্তর উত্তরপ্রদেশের ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত। রাজ্যের সভাপতি রাজ বব্বরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ আসার পর নতুন কাউকে খুঁজছেন তিনি। রাজ্যের নেতাদের জানিয়েছেন, এমন কাউকে খুঁজতে হবে, যিনি সংগঠন করে উঠে এসেছেন। এই দৌড়ে আপাতত দ্বিতীয় বারের বিধায়ক অজয় কুমার লল্লু ও অনুগ্রহ নারায়ণ সিংহই এগিয়ে রয়েছেন। এই দুজনের উপরেই প্রিয়ঙ্কা রাজ্যের সংগঠনের হাল বদলানোর দায়িত্ব আপাতত দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন