কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে বৈঠকে বসছে কংগ্রেস

কংগ্রেস সভানেত্রী আগামী ২ নভেম্বর দলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। সমস্ত সাধারণ সম্পাদক ও গণ সংগঠনের প্রধানদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:২৩
Share:

সনিয়া গাঁধী।

হরিয়ানা-মহারাষ্ট্রর বিধানসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, অর্থনীতিতে সঙ্কট বিজেপিকে বিপাকে ফেলেছে। তা টের পেয়েই আর্থিক সঙ্কট নিয়ে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এ বার সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে কোমর বেঁধে মাঠে নামতে চাইছে কংগ্রেস।

Advertisement

কংগ্রেস সভানেত্রী আগামী ২ নভেম্বর দলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। সমস্ত সাধারণ সম্পাদক ও গণ সংগঠনের প্রধানদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আর্থিক সমস্যা, চাকরি হারানো, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ, কৃষিতে সঙ্কটের বিরুদ্ধে আগামী ৫ থেকে ১৫ নভেম্বর কংগ্রেস দেশ জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক গিয়ে রেখেছে। মূলত তার প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, তার পর্যালোচনা করতেই সনিয়া এই বৈঠক ডেকেছেন। ব্লক থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত দশ দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে।

দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পরেই শুক্রবার সনিয়া দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তখনই ঠিক হয়েছিল, আমজনতার সমস্যা নিয়ে সরব হবে কংগ্রেস। এরপরে কংগ্রেস আসিয়ান-ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির প্রতিবাদ জানায়। অভিযোগ ছিল, এতে দেশের ছোট ব্যবসায়ী থেকে পশুপালক, ডেয়ারি শিল্প মার খাবে। তারপরে সনিয়া চাষিদের ফসলের সঠিক দাম না পাওয়ার সমস্যা নিয়ে সরব হন। কিন্তু শুধু বিবৃতি জারি বা টুইট না করে সাধারণ মানুষের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে বলে সনিয়া আগেই দলের নেতাদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। সে পথে হেঁটেই দলকে রাস্তায় নামাতে চাইছেন সনিয়া।

Advertisement

হরিয়ানা-মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে বিরোধী রাজনীতির সুযোগের গন্ধ পেলেও সনিয়া বা রাহুলের কেউই এখনও তা নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেনি। ভোটের ফলাফল নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেনি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ভোটের ফলাফল কংগ্রেসের মধ্যে নবীন বনাম প্রবীণের লড়াই আরও তীব্র করে তুলেছে। হরিয়ানায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাহুলের নিযুক্ত তরুণ নেতা অশোক তানওয়াররে সরিয়ে রাজ্যের প্রবীণ নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা ভাল ফল করে দেখিয়েছেন। ফলে আহমেদ পটেল, হুডা, অশোক গহলৌতের মতো প্রবীণদের হাতেই কংগ্রেসের রাশ চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক বৈঠক ডেকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলেও সনিয়া এই সংঘাত কী ভাবে সামলাবেন, তার এখনও জবাব মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement