বেশ কয়েক দিন কাটল বেঙ্গালুরুতে। গুজরাতে ফিরে আহমেদ পটেলকে জেতানোর জন্য ঝাঁপাতে হবে প্রত্যেককেই। ছবি: পিটিআই।
‘সুরক্ষিত’ আস্তানা ছেড়ে অবশেষে নিজেদের রাজ্যে ফিরতে চলেছেন গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়করা। সোমবার তাঁরা দফায় দফায় কর্নাটক থেকে গুজরাতে ফিরবেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৮ অগস্ট গুজরাতে রাজ্যসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ভোটগ্রহণের ঠিক আগের তারিখে দলীয় বিধায়কদের গুজরাতে ফেরাচ্ছে কংগ্রেস।
গুজরাতে তিনটি রাজ্যসভা আসনের জন্য নির্বাচন হচ্ছে। বিজেপি তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। প্রথম দুই প্রার্থী অমিত শাহ এবং স্মৃতি ইরানির জয় নিশ্চিত। তৃতীয় আসনে বিজেপি-র প্রার্থী সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বলবন্তসিন রাজপুত। তিনি সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব তথা কংগ্রেস প্রার্থী আহমেদ পটেলকে জোর টক্করের মুখে ফেলে দিয়েছেন। গুজরাত বিধানসভায় কংগ্রেসের আসনসংখ্যা যত, তাতে রাজ্যসভা নির্বাচনে তিনটির মধ্যে একটি আসনে অনায়াসে জেতার কথা কংগ্রেসের। কিন্তু রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতের সবচেয়ে প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা শঙ্করসিন বাঘেলা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বড়সড় ভাঙনের মুখে পড়েছে দল। ছয় বিধায়ক ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। বাঘেলার দাপটে আরও অনেক কংগ্রেস বিধায়কের দল ছাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ভাঙন আটকানো না গেলে আহমেদ পটেলের হার নিশ্চিত ছিল। হাই-প্রোফাইল প্রার্থীর হার আটকাতে তৎপর হয় কংগ্রেস। ৪০ জনেরও বেশি বিধায়ককে রাজ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। বিজেপি যে ভাবে দল ভাঙানোর খেলায় মেতেছে, তার হাত থেকে বাঁচতেই বিধায়কদের বেঙ্গালুরু পাঠাতে হয়েছে বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যোগীর পথে নীতীশ, ‘অবৈধ’ কষাইখানা বন্ধে বিহারেও অভিযান
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ জনা দশেক কংগ্রেস বিধায়ক বেঙ্গালুরু থেকে আহমেদাবাদ ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। তার পরে আরও ৩৩ জন বিধায়ককে রাতের মধ্যেই গুজরাতে ফেরানো হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: আমলার মেয়েকে উত্যক্ত, গ্রেফতার হরিয়ানা বিজেপি সভাপতির ছেলে, পরে জামিনে মুক্ত
রাজ্যসভা নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ অবশ্য মঙ্গলবার। সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কংগ্রেস বিধায়করা গুজরাতেই থাকবেন। তার মধ্যে বিজেপি ফের দল ভাঙানোর খেলায় নামতে পারে বলে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের আশঙ্কা। তাই গুজরাতে ফেরানোর পরেও গোটা বিধায়ক দলকে যাতে আগলে রাখা যায়, সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। তবে কংগ্রেস নেতৃত্ব এ নিয়ে মুখ খোলেনি।