সংগঠন ঢেলে সেজে শীঘ্র নয়া ‘টিম-রাহুল’

উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরেই ঘোষণা করেছিলেন, দলের সংগঠনের কাঠামো বদল করবেন। আজ রাহুল গাঁধী জানালেন, সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন তিনি।বুধবার সকালে সংসদের রণকৌশল নিয়ে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন সনিয়া ও রাহুল।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩০
Share:

উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরেই ঘোষণা করেছিলেন, দলের সংগঠনের কাঠামো বদল করবেন। আজ রাহুল গাঁধী জানালেন, সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বুধবার সকালে সংসদের রণকৌশল নিয়ে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন সনিয়া ও রাহুল। তার পর সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল এই কথা জানান। একই সঙ্গে বলেন, দিল্লিতে পুরসভা ভোটের আগে দলের কোন্দলের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। শীঘ্রই বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন।

উত্তরপ্রদেশে হারের পরেই অসুস্থ সনিয়াকে আনতে বিদেশে গিয়েছিলেন রাহুল। তার পর থেকে নিজের বাসভবনে একের পর এক বৈঠক করছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। শুধুমাত্র দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেই নয়, বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে। রাহুল ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, ‘‘অনেকে ভাবছেন, রাহুল চুপ করে বসে আছেন। কারণ, বাইরে তাঁর তেমন গতিবিধি দেখা যাচ্ছে না। আসলে তিনি দলকে নতুন করে সাজাচ্ছেন।’’

Advertisement

কী ভাবে? দলের এক নেতা বলেন, যদি মনে করা হয়, রাহুলের নতুন টিমে শুধুই নবীন মুখ থাকবে, তা হলে ভুল হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন রাহুল। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ, রাজস্থানের অশোক গহলৌতের মতো অভিজ্ঞ নেতাদের সঙ্গে নতুনদের মিশেল ঘটাতে চাইছেন তিনি। কংগ্রেসের এক সূত্রের মতে, রাহুল বৃদ্ধতন্ত্রকে সরিয়ে দিয়ে একেবারে নতুনদের নিয়ে নিজের টিম গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু সনিয়ার তাতে সায় নেই। সনিয়ার আশঙ্কা, বৃদ্ধতন্ত্রকে একেবারে বাদ দিলে তাঁরা রাহুলের বিরুদ্ধে ঘোঁট পাকাতে পারেন। ওড়িশার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে বিজেপির ভাল ফলের পর বি কে হরিপ্রসাদের মতো সাধারণ সম্পাদক ইস্তফা দিয়েছেন। হরিপ্রসাদ আজ বলেন, ‘‘রাহুল যাতে নিজের মতো টিম তৈরি করতে পারেন, সেই জন্যই আমি সরে গিয়েছি। লোকসভা নির্বাচন আর মাত্র দু’বছরের মধ্যে। ফলে রাহুলকে এখনই টিম গড়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’’ হরিপ্রসাদের মতে, সংসদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেই কিছু রাজ্যের উপনির্বাচনের ফল বেরোবে। তার পরেই রাহুলের নতুন টিমের কাঠামো প্রকাশ হয়ে যাবে।

দলের অনেকে মনে করেন, রাহুলকে নিজের মতো টিম তৈরি করতে দিয়ে হরিপ্রসাদের মতো অন্য প্রবীণদেরও সরে যাওয়া উচিত। গোয়ায় দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও দিগ্বিজয় সিংহ যেমন সরকার গড়তে পারেননি। বাজি মেরেছে বিজেপি। দলের এক নেতা আজ বলেন, ‘‘কংগ্রেসে সব থেকে বড় সমস্যা হল, গাঁধী পরিবার অনেক বেশি গণতান্ত্রিক। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের মতো একটু কর্তৃত্ব জাহির করা উচিত তাঁদের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন