রাহুল গাঁধী। — ফাইল চিত্র।
অচেনা নম্বর থেকে একটি ফোন। ও-পারে রাহুল গাঁধী। মাসের শেষ থেকে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে বাংলার কোনও কংগ্রেস কর্মীর ভাগ্যে। রাহুল সরাসরি ফোন করে জানতে পারেন, সেই বুথে দলের হাল কী? সেই নির্বাচনী কেন্দ্রে কংগ্রেসের দুর্বলতাই বা কী? আর কী করার দরকার?
কখন, কাকে ফোন করবেন, সেটি আগেভাগে কাউকে জানানোও হবে না। সভাপতি হওয়ার পরে কংগ্রেস কর্মীদের জন্য ‘শক্তি অ্যাপ’ চালু করেছেন রাহুল গাঁধী। যার লক্ষ্যই হল, বুথস্তরের কর্মী পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা। তাঁদের থেকে হাল হকিকত জানা। ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে এ ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। এ বার শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গেও। কালই এআইসিসির পক্ষ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেসের ‘ডেটা অ্যানালিটিক্স’ বিভাগে প্রবীণ চক্রবর্তীকে প্রধান করেছেন রাহুল। তিনিই নজরদারি রাখছেন। এই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য রাজ্য থেকে কর্মীদের নাম, ফোন নম্বর নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বুথকে শক্ত করার জন্য রাহুল ইতিমধ্যেই দলকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেক কর্মীকে নির্দিষ্ট দায়িত্বও দেওয়া হবে। সে কাজের ভিত্তিতে মূল্যায়নও করা হবে তাঁর। তার নিরিখে দলে পদোন্নতিও হবে। অন্য রাজ্যে এর সফল প্রয়োগ হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার কো-অর্ডিনেটর অনুপম ঘোষ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই এআইসিসি আমাদের থেকে ফোন নম্বর-সহ নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে। আমরা কয়েক দফায় তা পাঠাতে শুরুও করে দিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে এটি কার্যকর হলে দলের পক্ষেও তা লাভজনক হবে। কর্মীরা চাঙ্গা হবেন।’’
কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, কৈলাসে যাওয়ার আগেই রাহুল লোকসভা ভোটের কৌশল রচনা করেছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করতে বলেছেন রাজ্যগুলিকে। রাতে কংগ্রেসের সব মোর্চারও বৈঠক হয় দিল্লিতে। সব মোর্চার মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে লোকসভার জন্য ঝাঁপানোর কৌশল তৈরি হয়েছে। ২৫% আসনে মহিলাদের প্রার্থী করার কথাও ভেবে রেখেছেন। প্রিয়ঙ্কা বঢরাকেও আরও সক্রিয় করা হবে ভোটের আগে।