Arogya Setu

আরোগ্য সেতু আবশ্যিক করা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি-র মতো কিছু জেলায় জেলা প্রশাসন আধিকারিকদের জন্য অ্যাপ ডাউনলোড করানোর লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৪:৫০
Share:

—ফাইল চিত্র।

এত দিন ছিল ইচ্ছে মতো। কেন্দ্রীয় সরকার এ বার মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা কার্যত বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিল। লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কম কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে, শতকরা ১০০ ভাগ কর্মীই যেন মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করেন।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি-র মতো কিছু জেলায় জেলা প্রশাসন আধিকারিকদের জন্য অ্যাপ ডাউনলোড করানোর লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অ্যাপ ডাউনলোড করার পরে যাতে সকলে অন্তত ১০০ টাকা করে সেটির মাধ্যমেই পিএম-কেয়ারস তহবিলে টাকা পাঠান, তারও নির্দেশ জারি হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী আরোগ্য সেতু অ্যাপ মোবাইলে থাকলে মোবাইলের তথ্যের সুরক্ষা ও তথ্যের গোপনীয়তা কতটা বজায় থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাহুলের অভিযোগ, “আরোগ্য সেতু অ্যাপ আসলে আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা। বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। কোনও সরকারি নজরদারি নেই। ফলে তথ্যের গোপনীয়তা, সুরক্ষা বা চুরির ভয় নিয়ে উদ্বেগ থাকছে।”

সরকারের যুক্তি, আরোগ্য সেতু অ্যাপ তৈরি হয়েছে, করোনা-সংক্রমণের উপরে নজরদারির জন্য। মোবাইলে ব্লু-টুথ চালু রাখলে সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি কারা এসেছেন, এই অ্যাপে তা জানা যায়। কিন্তু রাহুলের মতে, “প্রযুক্তির সাহায্যে নাগরিকদের অনুমতি ছাড়াই তাদের উপরে নজরদারি হচ্ছে, এমন ভয় থাকা উচিত নয়।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ধন্দ রেখে লকডাউনের নির্দেশিকায় সংশোধন কেন্দ্রের

আরও পড়ুন: এ বার আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র, কাদের জন্য জেনে নিন

উত্তরপ্রদেশে এই অ্যাপের মাধ্যমে কেন পিএম-কেয়ারস তহবিলে টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। যোগী-রাজ্যে ভাদোহি জেলায় জেলাশাসক এই নির্দেশ জারি করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “ওটা স্রেফ অনুরোধ ছিল।” প্রিয়ঙ্কার দাবি, প্রশাসন যখন সকলের থেকে পিএম-কেয়ারস তহবিলে ১০০ টাকা করে নিচ্ছে, তখন তহবিলের হিসেবনিকেশও যথাযথ ভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা হোক। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থাকতেও অতিমারির মোকাবিলায় পৃথক পিএম-কেয়ারস তহবিল তৈরি ও তার আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। প্রিয়ঙ্কা সে দিকেই আঙুল তুলেছেন এ দিন।


(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন