অমিত শাহ। —ছবি পিটিআই
অমিত শাহের পুত্র জয়ের রাতারাতি সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে এখনও সরব রাহুল গাঁধী। এ বারে পিতা-পুত্রের ‘যুগলবন্দি’র বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ নিয়ে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল রাহুলের দল।
নতুন অভিযোগটি কী? আজ কমিশনের কাছে গিয়ে কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, বিবেক তন্খার মতো আইনজীবী নেতারা অভিযোগ করেন— রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় হলফনামায় তথ্য লুকিয়েছেন অমিত। তাঁর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন জয়। সেই অর্থে এটি অমিত শাহের দেনা। অথচ হলফনামায় ঘোষণা করেননি বিজেপি সভাপতি। নিয়ম অনুযায়ী, সম্পত্তি ও দেনা উভয়ই ঘোষণা করতে হয়।
তা না হলে কমিশন ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারে। ৬ মাসের সাজা হতে পারে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সদস্যপদও বাতিল করে দিতে পারেন।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়াতের সঙ্গে দেখা করে আসার পর কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। প্রয়োজন হলে কমিশনই আদালতে যাবে। কংগ্রেসও যেতে পারে।’’ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির বলেন, ‘‘অমিত শাহ হলফনামায় যে তথ্য লুকিয়েছেন, সেটি আর বদল করতে পারবেন না। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অনিবার্য।’’
কিন্তু আগেভাগেই বিজেপি যুক্তি সাজিয়ে রেখেছে। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের মতে, কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সাবালক পুত্র এক জন স্বাধীন ব্যক্তি। তাঁর দেনা বিজেপি সভাপতি দেখাবেন কেন? অমিত সম্পত্তি বন্ধক রাখলেও সেটি তাঁর দেনা নয়। রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধেই আয়কর ফাঁকির মামলা চলছে। নজর ঘোরাতেই এই সব ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ।