PM Narendra Modi

শাহবাজ়কে অভিনন্দন জানিয়ে কংগ্রেসের নিশানায় মোদী

পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন জানাই শাহবাজ় শরিফকে’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ০৭:১৩
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তান প্রশ্নে আজ নরম-গরম নীতি নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

আজ পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন জানাই শাহবাজ় শরিফকে’। তার কয়েক ঘণ্টা আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের ৫৫তম সমাবেশে ভারতের স্থায়ী মিশনের কূটনীতিক জগপ্রীত কউর, পাকিস্তানে নাম না করে তাকে ‘বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের কারখানা’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। শাহবাজ়কে অভিনন্দন জানানোয় ঘরোয়া রাজনীতিতে কংগ্রেসের আক্রমণের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক সোসাইটি’ (ওআইসি)-র পক্ষ থেকে পাকিস্তান এই সম্মেলনে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ভারতের মানবাধিকার রক্ষা প্রসঙ্গে তির্যক মন্তব্য করেছিল। এর প্রেক্ষিতে কউরের জবাব, “একটি দেশ লাগাতার ভারতের বিরুদ্ধে কুবাক্য বর্ষণ করে চলেছে। এমনিতে, ওআইসি-র মঞ্চের অপব্যবহার করছে, নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মসূচিকে সামনে আনার জন্য। এই ধরনের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে আমরা তাকে গুরুত্ব দিতে চাই না। শুধু বলতে চাই, মানবাধিকার রক্ষায় তারা নিজেদের রেকর্ড খতিয়ে দেখুক। বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের কারখানার শিরোপা পাওয়ার যোগ্য ওই দেশ।”

Advertisement

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। রয়েছে নানা ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা। জিনিসপত্রে দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার মধ্যেই ফের পাকিস্তানের দায়িত্ব নিলেন শাহবাজ়। ঘটনা হল, দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়ে শাহবাজ কাশ্মীরকে আলোচনার টেবিলে ফেরানোর জন্য সুর চড়াচ্ছেন।

শাহবাজ়কে মোদীর শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। দলের নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনতে বলেছেন, “পাকিস্তান আর চিন দু’জনের সঙ্গেই মোদীর খুবই বন্ধুত্ব! লাফিয়ে লাফিয়ে উনি লাহৌর চলে গিয়েছিলেন বিরিয়ানি খেতে নওয়াজ শরিফের বাড়িতে! তাঁর মন্ত্রিসভার কারও সে কথা জানা ছিল না। অরুণ জেটলিও বলেছিলেন যে তিনিও জানতেন না। পাকিস্তানের আইএসআই-কে উনি প্রথমবার পঠানকোটের সেনাঘাঁটিতে নিয়ে এসেছিলেন। পাকিস্তানের সঙ্গে ওঁর গভীর সম্পর্ক।’’ এখানেই থামেননি শ্রীনতে। চিন নিয়ে মোদীকে তাঁরা কটাক্ষ, ‘‘চিনের সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকলেও বলে দেন, তারা অনুপ্রবেশ করেনি। আসলে দেশের মানুষকে উনি খুবই সরল ভাবেন। মনে করেন, তাঁর অমর প্রেমকথা কেউ বুঝতে পারে না! ওঁর চিনের সঙ্গে এক হাতে প্রেম, অন্য হাতে প্রেম পাকিস্তানের সঙ্গে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন