গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পাকিস্তানের মাটিতে সবক’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগেই কেন ভারতীয় সেনার রাশ টানল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বুধবার এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কেন তড়িঘড়ি ‘অপারেশন সিঁদুর’ মুলতুবি করা হল, কেন্দ্রের কাছে তার উত্তর চেয়ে এ বার পথে নামছে দেশের প্রধান বিরোধী দল।
এআইসিসির মুখপাত্র পবন খেরা জানিয়েছেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ বিষয়ে দলীয় কর্মসূচির রূপরেখা ঘোষণা করবেন। কংগ্রেসের আর এক নেতা জয়রাম রমেশ ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্থগিতের কারণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘নীরবতা’ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ব্যবসা বন্ধের দাবি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যকে সামনে রেখে শাসকদল বিজেপি দেশ জুড়ে শুরু করেছে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’। এই আবহে দেশের প্রধান বিরোধী দলের এই কর্মসূচি। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের দোসর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার সাফল্যকে ‘রাজনীতির হাতিয়ার’ করতে সক্রিয় হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিজেপির ‘তিরঙ্গা যাত্রা’র পাল্টা কর্মসূচির কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে জাতীয়তাবাদী মিছিল। ১৭ ও ১৮ মে বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত। অন্য দিকে, বিজেপির কর্মসূচি শেষ হবে আগামী ২৩ মে।
বুধবার কংগ্রেস সদর দফতরে সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে রাহুল-সহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পরে জয়রাম বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে সরকারের সমস্ত কর্মসূচিকে কংগ্রেস সমর্থন জানিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পরে সর্বতোভাবে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দু’টি সর্বদল বৈঠকের একটিতেও প্রধানমন্ত্রী হাজির হননি।’’ গত ১০ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন ভারত-পাক যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করলেন সে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘অভূতপূর্ব বিষয় হল যে প্রধানমন্ত্রী এখনও এ বিষয়ে একটিও কথা বলেননি।’’ প্রসঙ্গত, শনিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরে সোমবার ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ দু’পক্ষকেই তিনি সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। নয়তো তাদের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই দাবি নিয়েও এখনও কিছু বলেননি মোদী।