ব্রিগেডের মঞ্চে রাহুল গাঁধীর রাফাল-অস্ত্রে শান দিয়েছেন অন্য বিরোধী দলের নেতারাও। আজ দিল্লিতে রাফাল নিয়ে আরও তেড়েফুঁড়ে নামল রাহুলের দল।
গতকালই প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আরও একবার রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আড়াল করতে নামেন। দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের করিডর থেকে দালালদের দূরে রাখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে কথা খোদ প্রধানমন্ত্রীও আজ দলের কর্মীদের আর একবার শোনান ভিডিয়ো কনফারেন্সে। নির্মলা যোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলি ‘কর্পোরেট যুদ্ধে’র শিকার হয়ে অভিযোগ করছে। নির্মলা খোলসা না করলেও বিজেপি নেতাদের দাবি, রাফালের প্রতিযোগী ইউরো ফাইটারের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই রাহুল গাঁধী এত সক্রিয়।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী প্রশ্ন তোলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী কোন কর্পোরেট যুদ্ধের কথা বলছেন? নরেন্দ্র মোদীই বা কোন কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষা করছেন? তা না হলে রাষ্ট্রায়ত্ত হ্যালকে বাদ দিয়ে অনিল অম্বানীর মাত্র ১২ দিনের সংস্থার হাতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার বরাত তুলে দেওয়া হল কেন? সরকারের মন্ত্রীরা গিয়ে অনিল অম্বানীর সংস্থার শিলান্যাস করেছেন। যে বাণিজ্য মন্ত্রকে নির্মলা ছিলেন তারাও সংস্থার অনুমোদন দিয়েছে। তার পরেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী কেন সংসদে বলছেন তিনি রাফালের অফসেট চুক্তির বিষয়ে জানেন না?
এ সব প্রশ্ন কংগ্রেস আগেও তুলেছে। মোদী ও তাঁর সেনাপতিরা আসল প্রশ্নগুলির উত্তর এড়িয়ে নিজেদের মতো জবাব দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপির কাছে মাথাব্যথার নতুন কারণ, এত দিন মূলত রাহুল গাঁধী রাফাল নিয়ে তোপ দাগতেন। গতকাল ব্রিগেডের সভায় অন্য বিরোধীরাও বলতে শুরু করেছেন। এমন কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছে রাফালের কথা। সেই মঞ্চে বিজেপির সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হাও ‘চৌকিদার চোর’ বলছেন। বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কা, ভোটের সময়ে সবাই মিলে বলতে শুরু করলে এটি বফর্সের আকার না নেয়?