প্রতীকী ছবি।
বেতন বন্ধের আশঙ্কায় বিজেপিতে যোগ দিতে গড়িমসি করছেন ত্রিপুরার বিরোধী বিধায়করা— এমন মন্তব্য করে রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্ক ছড়ালেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি বিপ্লব দেব। তাঁর দাবি, রাজ্যের তৃণমূল এবং কংগ্রেসের বেশির ভাগ বিধায়ক বিজেপিতে সামিল হওয়ার জন্য কোনও না কোনও ভাবে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু বিধায়কAllowanceর কথা ভেবে আপাতত দল বদলাতে চাইছেন না। বৃহস্পতিবার আনন্দবাজারকে ফোনে বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘যাঁরা কয়েক মাসের বেতনের লোভে এখনই বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন না, তাঁরা রাজ্যের মানুষের কথা কী ভাববেন!’’
প্রদেশ বিজেপি সভাপতি জানান, ইচ্ছা থাকলে ৩১ মে-র মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে ওই বিধায়কদের। কেউ কোনও শর্ত রাখতে পারবেন না। জোট বেঁধে নয়, একক ভাবে বিজেপিতে সামিল হতে হবে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘কারও নেতৃত্বে ৬ জন আসবেন, কারও নেতৃত্বে ৩ জন— তা হবে না। আমাদের দলে মাত্র দু’জন নেতা, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।’’ ওই সময়ের মধ্যে বিরোধী বিধায়করা দলবদল না করলে, আসন্ন বিধানসভা ভোটে তাঁদের কেন্দ্রেও প্রার্থী দেবে বিজেপি। বিপ্লবের বক্তব্য, ‘‘সে ক্ষেত্রে ত্রিমুখী লড়াইয়ে বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হওয়ায় সুবিধা পেয়ে যাবে সিপিএম।’’
এ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সভাপতি আশিস সাহা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক শিষ্টাচারের গণ্ডি পেরিয়েছে বিজেপি। এর জেরে ত্রিপুরায় অবাম জোট গঠনের সম্ভাবনা নষ্ট হল।’’ তিনি জানান, ত্রিপুরায় বিরোধী জোট গঠনের বিষয়ে বিজেপির সঙ্গে কথা হলেও, দলবদলের প্রসঙ্গ তাতে ছিল না। তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন বলেছেন, ‘‘আজ পর্যন্ত আমাদের ৬ বিধায়কের কেউ দলবদলের জন্য বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বলেছেন, ‘‘বিজেপি মিথ্যা কথা বলে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছে। একই কারণে তাঁরা ক্ষমতা হারাবে।’’ ত্রিপুরা বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক-সংখ্যা ৩।
উল্লেখ্য অমিত শাহের সাম্প্রতিক ত্রিপুরা সফরের সময় আগরতলার রাজ্য অতিথিশালায় যান কংগ্রেস বিধায়ক রতনলাল নাথ। সেই সময় রাজ্য অতিথিশালায় ছিলেন অমিত শাহ। পরে রতনলালবাবু দাবি করেন, একশো দিনের কাজ নিয়ে এক সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মাসচারেক আগে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন, রতনলালবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিপ্লববাবু। দু’পক্ষই অবশ্য জানিয়েছিলেন, তা নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।