যাদব বংশে ফাটল ধরাতে অমর সিংহই ছিলেন বিজেপির তুরুপের তাস। সে কাজে ব্যর্থ হওয়ার পর অমর চাইলেও বিজেপি এখন তাঁকে দলে নিতে সাত-পাঁচ ভাবছে।
বিজেপির শীর্ষ সূত্রের মতে, অখিলেশ যাদব সমাজবাদী পার্টি থেকে অমরকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি অরুণ জেটলির মতো বিজেপির শীর্ষ নেতার সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে। প্রকাশ্যে অমর নিজেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। বরং বলেছেন, ‘‘এমন কোনও পরিকল্পনা যে নেই, তা নয়। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করিনি।’’ এরই পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর প্রশস্তিও শোনা যাচ্ছে তাঁর মুখে। সমাজবাদী পার্টি যখন নোট বাতিলের কুপ্রভাবকে তুলে ধরে প্রচারের হাতিয়ার করেছে, তখন সেই দলে থেকেও প্রকাশ্যে মোদীর এই সিদ্ধান্তের তারিফ করেছেন অমর। এখন তো বিজেপির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন তিনি। কিন্তু মুখে তিনি যা-ই দাবি করুন, বিজেপির বেশির ভাগ নেতাই অমরকে দলে নিতে নারাজ।
অমর সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতারা।
• শুধু বিজেপি নয়, অন্যান্য দলের সঙ্গেও অমর যোগাযোগ রাখছেন। বিজেপিতে আসা নিয়ে নিজে তিনি কতটা আন্তরিক?
• অমরের রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আপাতত কোথাও যাওয়ার না থাকায় স্রেফ রাজনৈতিক ভাবে ভেসে থাকতেই কি বিজেপিতে যাওয়ার কথা তিনি হাওয়ায় ভাসিয়ে রাখছেন?
• নাকি নিজের দর বাড়াতে চাইছেন অমর?
আরও পড়ুন: সম্ভাবনা জুলাইয়ে জিএসটি চালুর
বলে এসেছিলেন। কমিশনও যে কারণে দ্রুত অখিলেশকে ‘সাইকেল’ দিতে পেরেছে।
বিজেপি মনে করছে, উত্তরপ্রদেশের ভোটের ফল বেরোলেই পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। ভোটে যদি অখিলেশ প্রত্যাশামাফিক ফল করতে না পারেন, তা হলে মুলায়ম তো বটেই, অমর, শিবপাল যাদবরা ফের দাপট দেখানোর সুযোগ পাবেন। ভোটের মধ্যে অমকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও আলোচনাই সম্ভব নয়। মুলায়ম দল থেকে বার করে দেওয়ার পরে অমর নিজের দল গড়েছিলেন। কিন্তু হালে পানি পাননি। কোনও জনভিত্তিই তৈরি করতে পারেননি তিনি। এমন নেতাকে দলে এনে কী লাভ, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে বিজেপিতে।