Opposition Parties

বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ফ্লেক্স ঘিরে রহস্য, তরজাও

শনিবার হুগলির একাধিক জায়গায় ‘ইন্ডিয়া’-র ফ্লেক্স নজরে আসার পরেই রাজনৈতিক স্তরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কংগ্রেস ও সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব এই ফ্লেক্সের দায় অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৪
Share:

এই ফ্লেক্স নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। সিঙ্গুরের পুরুষোত্তমপুর এলাকায় বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোডের ধারে। —নিজস্ব চিত্র।

তিন দলই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র শরিক। কিন্তু এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরোধ অব্যাহত। তার মধ্যেই এই তিন দলের নেতানেত্রীদের ছবি-সহ ফ্লেক্স নিয়ে উত্তাপ ছড়াল রাজনীতিতে। শনিবার হুগলির একাধিক জায়গায় ‘ইন্ডিয়া’-র সেই ফ্লেক্স নজরে আসার পরেই রাজনৈতিক স্তরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কংগ্রেস ও সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব এই ফ্লেক্সের দায় অস্বীকার করেছেন। আর তিন দলের সমঝোতার কথা বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

Advertisement

জেলার একাধিক ব্লকে দেওয়া ওই ফ্লেক্সে বিজেপিকে হঠাতে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র সমর্থনে সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরী, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তীর ছবি রয়েছে। নীচে লেখা, ‘ইনক্লাব জিন্দাবাদ’, ‘ইনক্লাব জয় বাংলা’। কে বা কারা ওই ফ্লেক্স লাগিয়েছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিঙ্গুরের পুরুষোত্তমপুর, চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের সুগন্ধ্যা পঞ্চায়েতের পাঁচরখি, বাঁশবেড়িয়া প্রভৃতি এলাকায় জোটের সমর্থনে ওই ফ্লেক্স পড়েছে।

দলের নেতাদের ছবি থাকলেও কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম— তিন দলই দাবি করেছে, তারা ওই ফ্লেক্স লাগায়নি। সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের দলের দুই নেতার ছবি ফ্লেক্সে রয়েছে। তাঁদের অথবা দলের কোনও অনুমতি ছাড়াই এই কাজ করা হয়েছে। যারাই করুক, খুঁজে বার করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’

Advertisement

কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎবরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় স্তরে জোট হলেও রাজ্যে শাসকের বিরোধিতা থেকে আমরা সরে আসিনি। এ ধরনের প্রচারের কোনও দলীয় নির্দেশিকা নেই। কারা এটা করছে, আমরা দলীয় ভাবে তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করব।’’

অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র তথা পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি-বিরোধী সাধারণ মানুষ ওই ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন। দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যের মানুষও চাইছেন না, ২০২৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরে আসুক।’’ ঘটনাচক্রে, ‘জয় বাংলা’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে তৃণমূল। এই তরজায় সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূলের ‘আঁতাঁত’ দেখাচ্ছে বিজেপি। দলের রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই ধরনের প্রচারে নিজেদের নিচুস্তরের কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আদৌ ইতিবাচক প্রভাব পড়ে কি না, তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস সেটা বুঝে নিতে চাইছে। তা বুঝে পা ফেলবে। এই আঁতাঁতে কিছুই হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন