DRDO

কোভিডে ধুঁকছে রাজধানী, রোগী সামলাতে চালু হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাওয়া একাধিক হাসপাতাল

রোগী না থাকায় ফেব্রুয়ারিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাসপাতালটি। পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর অবস্থা ধারণ করায় ফের তা চালু হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২১ ১২:১৩
Share:

সোমবার থেকে রোগী ভর্তি নেওয়া শুরু। ছবি: পিটিআই।

অতিমারির প্রকোপ কাটিয়ে তখন অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশ। কেবলমাত্র কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় ১ হাজার শয্যার হাসপাতালে তখন মাত্র ৬-৭ জন রোগী। বিপর্যয় কেটে গিয়েছে ভেবে আপৎকালীন ভিত্তিতে তৈরি সেই হাসপাতাল বন্ধ করে চলে আসার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই মতো ওই ৬-৭ জন রোগী ছাড়া পাওয়ার পরই ১৮ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা (ডিআরডিও)-র উদ্যোগে অস্থায়ী রূপে দিল্লিতে তৈরি হওয়া সর্দার বল্লভভাই পটেল কোভিড হাসপাতাল। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় টালমাটাল অবস্থা সামাল দিতে বন্ধ হওয়ার দু’মাসের মাথাতেই ফের চালু হচ্ছে হাসপাতালটি। সোমবার থেকেই কোভিড রোগী ভর্তি নেওয়া শুরু হবে সেখানে।

Advertisement

সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সেই অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৪৬২ জন যা এখনও পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারাও গিয়েছেন ১৬১ জন করোনা রোগী। তার উপর কেন্দ্রীয় সরকার রাজধানীর জন্য বরাদ্দ অক্সিজেনের জোগান কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। হাসপাতালে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে অস্থায়ী হাসপাতালটি ফের চালু হচ্ছে। আপাতত ২৫০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে হাসপাতালে। আগামী সপ্তাহে শয্যার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, গবেষণাগার, ওষুধের দোকানও রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্যকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।

Advertisement

গত বছর জুলাই মাসে রাজধানীতে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে হাসপাতালের শয্যার অভাব দেখা দেয়। টান পড়ে অক্সিজেনের জোগানেও। সেই পরিস্থিতিতে ধৌলা কুয়াঁয় ১২ দিনের মধ্যে চারটি ওয়ার্ডে বিভক্ত ১ হাজার শয্যার ওই অস্থায়ী হাসপাতালটি গড়ে তোলে ডিআরডিও। সেই সময় হাসপাতালটিতে শুধুমাত্র আইসিইউ-ভেন্টিলেটর শয্যাই ছিল ২৫০টি। গত বছর দিল্লিতে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৮ হাজার ৫০০। সেই সময় নভেম্বরে ওই হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৫৫২ জন কোভিড রোগী ভর্তি ছিলেন।

গত বছরের শেষ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করে রাজধানী। যদিও মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাবে সেই সময় থেকেই নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। দৈনিক সংক্রমণ আগে ২ হাজারের নীচে চলে গেলেও ১৮ মার্চ মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৫ হাজার ৪২৭ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে দিল্লিতে ওই দিন সংক্রমণ ১০০-র আশেপাশে ছিল। ওই দিনই হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সমস্ত শয্যা এবং যন্ত্রপাতি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু সামনের একটি তাঁবু রেখে দেওয়া হয়। মূলত তথ্য সংগ্রহের জন্য তা রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের সেটি চালু করা হচ্ছে।

তবে শুধু এই একটি হাসপাতালই নয়। কমনওয়েল‌্‌থ ভিলেজে ৫০০ শয্যার যে অস্থায়ী কেভিড সেন্টার গড়ে তুলেছিল দিল্লি সরকার, সেটিও আবার নতুন করে চালু হচ্ছে। কম সংখ্যক মানুষ সেখানে যাচ্ছিলেন বলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে ছতরপুরের রাধাস্বামী সৎসঙ্গ মাঠে আইটিবিপি যে অস্থায়ী হাসপাতাল চালাচ্ছিল, সেটি বন্ধ হয়ে যায় ফেব্রুয়ারিতে। সেটিকেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন