ছবি: পিটিআই।
দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ফের উদ্বেগজনক ভাবে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। কেন সংক্রমণ বাড়ছে তা জানতে বাংলা-সহ এমন ১০টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উচ্চ পর্যায়ের বহুবিভাগীয় দল পাঠাল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এক একটি দলে তিন জন করে সদস্য রয়েছেন। এই দলগুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, যে দশটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরল, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাব, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং জম্মু ও কাশ্মীর। মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, কেন সংক্রমণ বাড়ছে তা জানতে রাজ্য প্রশাসনগুলোর সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবে কেন্দ্রের এই দল। কী ভাবে সংক্রমণ ঠেকানো যায় এবং তা নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়েও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে রাজ্য এবং কেন্দ্রের পাঠানো এই দলগুলো।
কোন কোন জায়গায় সংক্রমণ বাড়ছে দৈনিক ভিত্তিতে খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্র, কেরল, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই চিঠি লিখে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ এবং কেন আরটিপিসিআর পরীক্ষা কম হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রভাবিত এলাকাগুলোতে যাতে দ্রুত এই পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয় রাজ্যগুলোকে সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, যাঁদের উপসর্গ ধরা পড়ছে অথচ র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁদের যেন অবশ্যই আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো হয়। কনট্যাক্ট ট্রেসিং-এর উপরও রাজ্যগুলোকে জোর দিতে বলা হয়েছে।