Coronavirus in India

দেশে করোনায় আক্রান্ত ৩০ লক্ষ, কমছে মৃত্যুহার

আশা জাগিয়ে মন্ত্রক জানিয়েছে, হাসপাতালের পাশাপাশি নিভৃতবাসে বা বাড়িতে থাকা ব্যক্তিরাও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠায় করোনাকে পরাস্ত করা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪.৬৯ শতাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৪
Share:

এক দিনে আক্রান্ত বৃদ্ধির নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে ভারতের এগিয়ে থাকার পরিসংখ্যান আজও অব্যাহত। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

২০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষে পৌঁছতে সময় লাগল মাত্র ১৫ দিন। করোনা রোগীর সংখ্যা বেসরকারি ভাবে আজ ৩০ লক্ষ পেরোল ভারত।

Advertisement

যদিও সরকারি ভাবে আজ এ দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৯,৭৫,৭০১। যা আসলে গত কালের হিসেব। আজ সারাদিনের সংক্রমিতের সংখ্যা হিসেব করে ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে, দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৩০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে দিনের শেষে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০,৪৩,৪৩৬ জন। এ দিকে সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯,৮৭৪ জন। যা নতুন রেকর্ড। গত এক দিনে মারা গিয়েছেন ৯৪৫ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫,৯৭৪ জনের।

তবে আশা জাগিয়ে মন্ত্রক জানিয়েছে, হাসপাতালের পাশাপাশি নিভৃতবাসে বা বাড়িতে থাকা ব্যক্তিরাও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠায় করোনাকে পরাস্ত করা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪.৬৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশের মোট আক্রান্তের মাত্র ২৩ শতাংশ এখন সক্রিয় করোনা পজিটিভ রোগী বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কমেছে মৃত্যুর হারও। বিশ্বে যেখানে মৃত্যুহার সাড়ে তিন শতাংশের কাছাকাছি, সেখানে এ দেশে তা ১.৮৭ শতাংশের কাছাকাছি। সরকারের লক্ষ্য, অঙ্কটি এক শতাংশের নীচে নামানো।

Advertisement

আরও পড়ুন: দাউদের ঠিকানা পাকিস্তানেই, কবুল করল ইসলামাবাদ

আরও পড়ুন: দু’বছরের কম সময়ে করোনামুক্ত হবে বিশ্ব, আশাপ্রকাশ হু প্রধানের

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

করোনা সংক্রমণের শুরুর পর্যায়ে দেশে পরীক্ষার সংখ্যা কম থাকলেও, গত কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে পরীক্ষা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গোটা দেশে গত কাল ১০,২৩,৮৩৬টি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এক দিনের নিরিখে ১০ লক্ষ পরীক্ষা প্রথম বার হল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সব মিলিয়ে দেশের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ এ পর্যন্ত পরীক্ষার আওতায় এসেছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেও দেশের বেশ কিছু রাজ্যে এখনও পরীক্ষায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, এই রাজ্যগুলিতে বার বার পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। যত পরীক্ষা হবে তত রোগী ধরা পড়বে। সে ক্ষেত্রে আটকানো যাবে নতুন সংক্রমণ।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

সার্বিক ভাবে মৃত্যুর হার নিম্নমুখী হলেও, প্রাত্যহিক যত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির সংক্রমণের হার গত এক মাসের বেশি সময় ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। এ বার কেন্দ্রকে উদ্বেগে ফেলেছে হরিয়ানা ও পঞ্জাবের মতো ছোট রাজ্যগুলিতে নতুন করে সংক্রমণের ঘটনা। নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শনি ও রবিবার রাজ্যের সমস্ত দফতর ও দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হরিয়ানা সরকার। পঞ্জাব সরকার নতুন করে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কার্ফুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সপ্তাহের এক দিন গোটা রাজ্য সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে বলে ঘোষণা করেছে সেই রাজ্যের সরকার।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন