Coronavirus

দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে করোনার চিকিৎসা, বেড ভাড়া ৫ হাজার

চিকিৎসার খরচ হতে পারে অতিরিক্ত সর্বোচ্চ আরও পাঁচ হাজার টাকা। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগলে তার জন্য খরচ আরও দু’হাজার টাকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ২০:১৬
Share:

তাজ মানসিংহ হোটেলকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি সরকার। —ফাইল চিত্র

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় দিল্লিতে ব্যবহার হবে এ বার পাঁচতারা হোটেলও। দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে রাজধানীর তাজ মানসিংহ হোটেল। বিলাসবহুল এই হোটেলে থাকা-খাওয়ার খরচও বিপুল। শুধু বেড ভাড়া আর খাওয়া খরচই ৫ হাজার টাকা। চিকিৎসার খরচ দিতে হবে অতিরিক্ত। সেই টাকা রোগীকেই দিতে হবে।

Advertisement

দিল্লি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসার যাবতীয় বিষয় দেখভাল করবে গঙ্গারাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে হোটেলের কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ এবং সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হবে। প্রতিদিন বেড ভাড়া হিসেবে রোগীকে দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা। পাশাপাশি চিকিৎসার খরচ হতে পারে অতিরিক্ত সর্বোচ্চ আরও পাঁচ হাজার টাকা। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগলে তার জন্য খরচ আরও দু’হাজার টাকা। রোগী বা তাঁর পরিবারকে যাবতীয় খরচ দিতে হবে গঙ্গারাম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তারা সেই হোটেল কর্তৃপক্ষকে টাকা মিটিয়ে দেবে। হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও নার্সরাও হোটেলে থাকতে পারেন। কিন্তু তার জন্য অতিরিক্ত কড়ি গুনতে হবে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে দিল্লিতে বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজার ৮২৯। মৃত্যু হয়েছে ১৪০০ জনের। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক দিন আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া দু’জনই আশঙ্কা করেছেন, জুলাইয়ের শেষে গিয়ে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছতে পারে সাড়ে পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি। ওই সময় বেডের প্রয়োজন হবে ৮০ হাজারের মতো। সেই আশঙ্কার জেরেই বেসরকারি হোটেলেও কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৫০ শতাংশের বেশি: প্রধানমন্ত্রী

আরও পড়ুন: টিকা বেরোলেই সংক্রমণ শেষ হয়ে যাবে না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

রবিবার ও সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসায় ট্রেনের কামরাকে রেল যে হাসপাতালের বেডে পরিণত করেছে, তেমন ৫০০টি রেলের কামরা দেওয়া হবে দিল্লি সরকারকে। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৫০টি কামরা দেওয়া হয়েছে। সেগুলি আনন্দ বিহার স্টেশনে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ওই কামরাগুলিকেও ব্যবহার করবে দিল্লির প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন