Corona

COVID-19 Vaccine: জুলাইতেই ভারতে আসতে পারে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা, কতটা সুরক্ষিত? উঠছে প্রশ্ন

আমেরিকার সংস্থাটির থেকে টিকা আনতে উদ্যোগী হয়েছে দি অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথকেয়ার প্রোভাইডার্স নামে সংস্থার ভারতীয় শাখা (এএইচপিআই)।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২১ ১৭:১৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

জুলাই থেকেই এ দেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড টিকা পাওয়া যেতে পারে। যদিও এ বিষয়ে কোনও ঘোষণা করেনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আমেরিকার ওই সংস্থাটির থেকে টিকা আনতে উদ্যোগী হয়েছে দি অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথকেয়ার প্রোভাইডার্স নামে সংস্থার ভারতীয় শাখা (এএইচপিআই)। জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকার প্রতিটির দাম ২৫ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৮৭৫ টাকা। এএইচপিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে জনসনের কয়েক হাজার টিকা এ দেশে আনা হবে। যদিও টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে রক্তজমাট বাঁধার অভিযোগ ওঠায় এর সুরক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ইতিমধ্যেই এ দেশে টিকার উৎপাদন প্রক্রিয়া যাচাইয়ের আবেদন করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। ভারতে তাদের টিকার ক্লিনিক্যাল ব্রিজিং স্টাডি শুরু করার জন্য গত এপ্রিলে নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বারস্থও হয়েছিল সংস্থাটি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া বিধি অনুযায়ী, আমেরিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর অনুমোদিত টিকায় সে সমীক্ষার প্রয়োজন নেই। ওই সংস্থার কাছে সে অনুমোদন থাকায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভারতে এই টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র পেতে বাধা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মান অনুয়ায়ী, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা মাঝারি মাত্রায় কোভিডের বিরুদ্ধে ৬৬.৩ শতাংশ প্রতিরোধক। অন্য দিকে, মারাত্মক থেকে গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে তা ৭৬.৩ শতাংশ কার্যকরী। টিকাকরণের ২৮ দিন পর হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকিও পুরোপুরি কমিয়ে দিতে সফল। অন্যান্য টিকার মতো এই টিকা সাধারণ তাপমাত্রাতেই মজুত করা যায়।

Advertisement

হু-এর আশ্বাস সত্ত্বেও এই টিকার সুরক্ষা নিয়ে সন্দিহান অনেকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই টিকায় অনুমোদন দিয়েছিল এফডিএ। তবে টিকা নেওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহে অনেকের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া, আমেরিকার বাল্টিমোরের প্লান্টে উৎপাদিত লক্ষ লক্ষ টিকা ফেলে দেওয়ার জন্য চলতি মাসেই সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল এফডিএ। এফডিএ-র দাবি, ওই টিকাগুলি দূষিত হয়ে গিয়েছে। গত মাসে ব্রিটেনে এটি অনুমোদিত হলেও ডেল্টা প্রজাতির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই টিকাকরণের পরেও বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। করোনার ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাস প্রজাতির বিরুদ্ধে এই টিকা কতটা কার্যকরী, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে এ বিষয়ে সংস্থাটির তরফে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন