COVID-19

কোভিড ভীতি উবে যাওয়াই মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, দাবি কেন্দ্রের

গত কয়েক মাস ধরে দেশের ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১ ১৮:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোভিড নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যে ভয় উধাও হয়ে যাওয়াটাই মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে দাবি করল কেন্দ্র। গত কয়েক মাস ধরে দেশের ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে। গোটা দেশে দৈনিক সংক্রমণ যা হচ্ছে তার প্রায় ৮০ শতাংশই এই দুই রাজ্য থেকে। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রের। তড়িঘড়ি কারণ খতিয়ে দেখতে ওই দশ রাজ্যে বিশেষজ্ঞ দল পাঠায় কেন্দ্র।

গত ১ এবং ২ মার্চ তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল মহারাষ্ট্রে যায়। কেন্দ্রকে যে তথ্য তারা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে কোভিডবিধি ঠিকমতো মানছেন না বেশির ভাগ মানুষই। তাঁদের মন থেকে কোভিড নিয়ে যে ভীতি ছিল তা উবে গিয়েছে। ফলে মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে। তা ছাড়া মানুষের মধ্যে একটা কোভিডবিধি নিয়ে একটা ক্লান্তি ভাবও লক্ষ্য করা গিয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির এটাই অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছে বিশেষজ্ঞ দলটি। পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে যে, সংক্রমণ বৃদ্ধির এটা অন্যতম কারণ হলেও, আসল কারণ কী সেটা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হয়ে গিয়েছে। টিকা এসে গিয়েছে মানেই, আর বিপদ নেই, এই ধারণা জন্মাচ্ছে অনেকের মধ্যে। ফলে কোভিডবিধি মানার বিষয়ে একটা গাছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা খুবই চিন্তার বিষয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞ দলটি যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের যে সব জায়গায় করোনার সংক্রমণ ঘটেনি, সেখানেও সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এবং দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগই উপসর্গহীন।

মানুষের মধ্যে গা ছাড়া ভাব তো আছেই, তার সঙ্গে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের ভূমিকা নিয়ে আঙুল উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, কোনও রোগীর জ্বরকে সাধারণ বলেই ছেড়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কোভিড পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন না। ফলে এটাও একটা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement