প্রতীকী ছবি।
ত্রাসের দেশে স্বস্তির খবর।
করোনাকে কাবু করেই হাসপাতাল থেকে ঘরে ফিরলেন কেরলের প্রবীণ দম্পতি। স্বামী ৯৩, আর স্ত্রীর বয়স ৮৮। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে যখন লাগাতার করোনা-আক্রান্ত প্রবীণদের মৃত্যুর খবর আসছে, তখন কোট্টয়ম জেলার এই দম্পতির সুস্থ হওয়াকে ‘মিরাক্ল’-ই বলছেন চিকিৎসকদের একাংশ। অনেকেই এই খবরে আশার আলো দেখছেন। কেউ আবার বলছেন, এই ঘটনা নেহাতই ব্যতিক্রমী। গোড়ায় ভুগলেও, নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতাতেই এ যাত্রা ওই দুই প্রবীণ কোভিড-১৯ থেকে রেহাই পেয়ে গেলেন বলে মনে করছেন একাংশ। আবার কেউ বলছেন, দক্ষিণ ভারতের উন্নত মানের চিকিৎসা ব্যবস্থাই এ ক্ষেত্রে অসাধ্যসাধন করেছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ইটালি থেকে ফিরেছিলেন ওই দম্পতির ছেলে, বৌমা ও নাতি। সেই সূত্রেই সংক্রমণ ছড়ায় প্রায় গোটা পরিবারে। বয়সজনিত অসুস্থতা ছিলই। তার উপর করোনা। এমন পরিস্থিতিই সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে ওই দম্পতিকে কোট্টয়ম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঠাতে হয় ভেন্টিলেশনেও। সম্প্রতি সেখান থেকেই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ওই দম্পতি।
চিকিৎসকদের অনেকে বিষয়টিকে মিরাক্ল বললেও, একাংশ বলছেন, ‘‘এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। সংক্রমণ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছনোর আগেই যদি যথাযথ চিকিৎসা করা যায়, তা হলে বয়স্ক আক্রান্তরাও করোনা থেকে সেরে উঠতে পারেন। ইটালিতেও তো ১০২ বছরের এক মহিলা সেরে উঠেছেন।’’ তাই করোনা-ত্রাসের আবহে কেরল আশা দেখাল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।