Coronavirus Lockdown

দিল্লির সীমানা এক সপ্তাহের জন্য সিল করল কেজরীবাল সরকার

তবে সীমানা বন্ধ থাকলেও, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষ এবং সরকার অনুমোদিত ই-পাস যাঁদের রয়েছে, তাঁরা সীমানা পেরিয়ে দিল্লিতে ঢুকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ১৪:৫০
Share:

ই-পাস ছাড়া যাঁরা ঢুকেছিলেন, নয়ডা সীমান্ত থেকে তাঁদের ফেরাচ্ছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।

ধাপে ধাপে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজধানীতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির সীমানা আগামী এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। এই সঙ্কটের সময় দিল্লির হাসপাতালগুলি যাতে স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত রাখা যায়, তার জন্যই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেজরীবাল।

Advertisement

তবে সীমানা বন্ধ থাকলেও, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষ এবং সরকার অনুমোদিত ই-পাস যাঁদের রয়েছে, তাঁরা সীমানা পেরিয়ে দিল্লিতে ঢুকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘‘সীমানা খুললেই সারা দেশ থেকে মানুষ দিল্লিতে চিকিৎসা করাতে ছুটে আসবেন। কিন্তু এই মুহূর্তে দিল্লির হাসপাতালগুলি স্থানীয়দের জন্যই সংরক্ষিত রাখা উচিত। তাই আগামী এক সপ্তাহের জন্য দিল্লির সীমানা বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে ছাড় দেওয়া হচ্ছে জরুরি পরিষেবাগুলিকে।’’

সীমানা খোলা হবে কি না, তা নিয়ে দিল্লির নাগরিকরা নিজেদের মতামত জানাবেন, তার পরই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও এ দিন জানান কেজরীবাল। তিনি বলেন, ‘‘সীমানা খোলা উচিত কি না, তা নিয়ে নিজেদের মতামত জানাবেন দিল্লির নাগরিকরা। সেই মতো এক সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তার জন্য delhicm.suggestions@gmail.com –এ ই-মেল পাঠিয়ে বা ৮৮০০০০৭৭২২ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে অথবা ১০৩১-এ ফোন করে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিল্লিবাসী নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: আক্রান্তে জার্মানি, ফ্রান্সকে টপকালো ভারত, মৃত্যুতে রাশিয়াকে

আরও পড়ুন: করোনা অদৃশ্য শত্রু হতে পারে, কিন্তু জয়ী হবেন দেশের যোদ্ধারাই: মোদী​

এই মুহূর্তে দিল্লিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৪৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। রবিবারই সেখানে নতুন করে ১০০০ জন করোনায় আক্রান্ত হন বলে খবর। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের নিরিখে এই নিয়ে চতুর্থ বার ১০০০-এর কোটা পার করল দিল্লি। তবে কোভিড রোগীদের জন্য এখন সাড়ে ন’হাজার বেড রয়েছে, প্রয়োজনে বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে দিল্লিবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন কেজরীবাল। তবে সীমানা বন্ধ রাখা হলেও, রাজধানীর সমস্ত দোকান এমনকি সেলুন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন