Coronavirus Update

দৈনিক সংক্রমণ ৩৮ হাজারের কম, দেশে মোট সুস্থ ৮৬ লক্ষ পেরোল

করোনা এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২১৮ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৪৮০ জন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০ ১২:০৩
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত ৫ দিন ৪৫ হাজারে আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। মঙ্গলবার তা একলাফে কমে ৩৮ হাজারের নীচে। পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও গত ৫ দিন ধরে হচ্ছিল ৫০০-র বেশি। আজ তা নেমেছে ৫০০-র নীচে। সঙ্গে কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা-চিত্র।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৯১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৪০ জন। এই সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থান ভারতের। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকার মোট আক্রান্ত ১ কোটি ছাড়িয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও অবধি সেখানে ১ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। অক্টোবরের শেষ থেকেই আমেরিকাতে বাড়ছিল দৈনিক সংক্রমণ। গত ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে তা রোজই ১ লক্ষ ছাড়াচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ৮৭ হাজার। তুলনায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা হলেও কম। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে এখন পর্যন্ত ৬০ লক্ষ ৮৭ হাজার জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

Advertisement

করোনা এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ২১৮ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৪৮০ জন। দেশের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৪৬ হাজার ৬৫৩ জনের। দেশের মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ। এ মাসে সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে দিল্লিতে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১২১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্ত এবং মৃত্যু বৃদ্ধির মধ্যেই স্বস্তিদায়ক দেশের সুস্থতার হার। ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়া শুরু থেকেই আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের থেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৮৬ লক্ষ ৪ হাজার ৯৫৫ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের সাড়ে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৩১৪ জন। নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় অক্টোবরের শুরু থেকেই কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমেছে প্রায় ৫ হাজার। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬৬৭ জন।

প্রতিদিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৩.৪৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৪৫ জনের। যা সোমবারের তুলনায় অনেক বেশি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাসে কমেছে। ব্যতিক্রম দিল্লি এবং কেরল। যদিও বিগত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার দিল্লি (৪,৪৫৪) এবং কেরল (৩,৭৫৭) দৈনিক সংক্রমণ একটু হলেও কম। মহারাষ্ট্রেও তা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। অন্য দিকে রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলিতে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব ধীরে হলেও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে আক্রান্ত। উত্তরপ্রদেশেও গত কয়েকদিনে তা বাড়ছে।

পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও আগের থেকে কম। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫৫৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এ রাজ্যে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯১৮ জন। যদিও তার মধ্যে ৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৮১৬ জন রোগী সুস্থও হয়েছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। করোনা এ রাজ্যে মোট প্রাণ কেড়েছে ৮ হাজার ৭২ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement