Coronavirus

দেশে সক্রিয় রোগী কমে দেড় লক্ষ ছুঁইছুঁই, মোট আক্রান্তের ৯৭ শতাংশই সুস্থ

গতকালের তুলনায় বাড়লেও দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৩৫
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

প্রায় ৮ মাস পর মঙ্গলবার দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ নেমেছিল ৮ হাজারের ঘরে। বুধবার তা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৯ মাস পর মঙ্গলবার দৈনিক মৃত্যু নেমেছিল ১০০-র নীচে। বুধবার তা হয়েছে ১১০। গতকালের তুলনায় বাড়লেও দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও রোজই কমছে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৯ জন। এখনও অবধি দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১ কোটি ৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৮৪ জন। মোট আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে প্রথম আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্ত প্রায় ২ কোটি ৬৪ লক্ষ। সে দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এখনও ১ লক্ষের বেশি। ভারতের পিছনে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাস ধরে বাড়ছে। সেখানে মোট আক্রান্ত ৯২ লক্ষ ৮৩ হাজার।

করোনাভাইরাস দেশে এখনও অবধি ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৯৬ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১০ জন। দেশে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে (৫১ হাজার ১৩৯ জন)। কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে তা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। দিল্লিতে তা সাড়ে ১০ হাজার পার করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই সংখ্যা ১০ হাজার পেরিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য।

Advertisement

এ সবের পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার শুরু থেকেই বেশি। ১ কোটি ৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৩১ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ। মোট আক্রান্তের ৯৭.০৮ শতাংশই সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ২২৫ জন। এই সুস্থতার জেরে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। কমতে কমতে তা হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৫৭ জন। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ২১ হাজার ১২১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সংক্রমণের হার ১.৫৩ শতাংশ।

কেরল বাদে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। মহারাষ্ট্রে তা আগের তুলনায় অনেক কম। কেরলে এখনও নিয়ন্ত্রণে নয় করোনা সংক্রমণ। সেখান ৫-৬ হাজার মানুষ রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন। দিল্লিতে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক সংক্রমণ অনেকটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০৩ জন। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৮০ জন। যদিও এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৮৭ জন মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement