Coronavirus Hotspots

হটস্পট, নন-হটস্পট, বাফার জোন, নির্ধারণ কীসের ভিত্তিতে, কী করা যাবে আর যাবে না দেখে নিন

কোনও এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা যা আছে, সেটা যদি ৪ দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়, তা হলে সেই এলাকাকেও হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪১
Share:

বেঙ্গালুরু শহরের একটি হটস্পট চিহ্নিত এলাকাকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ২৪ ঘণ্টার প্রহরায় পুলিশ। ছবি: এএফপি

দেশের ১৭০টি জেলাকে করোনাভাইরাসেহটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। দেশের জেলাগুলিকে ‘রেড, গ্রিন ও হোয়াইট’— এই তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই জোনভিত্তিক আলাদা আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে নির্ধারিত হয়েছে এই হটস্পটগুলি। বাকি জোনগুলিকেই বা কী ভাবে ঠিক করা হয়েছে?

Advertisement

বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, হটস্পটগুলি চিহ্নিত হয়েছে সংক্রমণের প্রবণতার উপর ভিত্তি করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে যে সব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, সেগুলিকেই হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যের কোনও এলাকায় ৮০ শতাংশ বা তার বেশি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা থাকলে, সেটাকে হটস্পট হিসেবে ধরা হয়েছে।

আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির হার দেখেও ঠিক করা হয়েছে হটস্পটগুলি। যেমন কোনও এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা যা আছে, সেটা যদি ৪ দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়, তা হলে সেই এলাকাকেও হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বা হয়েছে। প্রতি সোমবার থেকে আগের রবিবার পর্যন্ত এই হিসেব ধরা হয়েছে।

Advertisement

কিন্তু হটস্পট কতটা এলাকা জুড়ে হবে, সেটা কী ভাবে নির্ধারিত হয়েছে? ধরা যাক, কোনও একটি এলাকায় মোট ১০০টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে ১০টি বাড়ির প্রতিটিতেই কোভিড-১৯ পজিটিভ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ওই বাড়িগুলিকে নির্ধারিত করে তার চার দিকে একটি নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধ ধরে একটি কল্পিত রেখা টেনে ওই পুরো এলাকাকেই হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

এই হটস্পটগুলিতে কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না, তা নিয়ে একটি কড়া গাইডলাইন দিয়েছে কেন্দ্র। সেই অনুযায়ী এই হটস্পটগুলি কার্যত সিল করে দেওয়া হয়েছে। কার্যত কোনও পরিস্থিতিতেই ঘর থেকে বেরতে পারবেন না এলাকাবাসী।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত রয়েছে কিন্তু হটস্পট নয়, এমন জেলার সংখ্যা সারা দেশে ২০৭টি। এই জেলাগুলিকে বলা হচ্ছে কনটেনমেন্ট জোন। এগুলিকে রাখা হয়েছে ‘হোয়াইট জোন’-এ। এই সব এলাকাতেও কড়া নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এর বাইরে বাকি জেলাগুলি ‘গ্রিন জোন’। অর্থাৎ এই জেলাগুলিতে কোনও করোনার সংক্রমণ নেই।

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু-আক্রান্তের শিখর পেরিয়ে এসেছে আমেরিকা, উঠছে লকডাউন, ঘোষণা ট্রাম্পের

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের তালিকায় রাজ্যের ‘হটস্পট’ কোনগুলি, দেখে নিন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন