National News

মোদী জমানায় বহুগুণ বেড়েছে দুর্নীতির নালিশ

খোদ সরকারের হিসেবই যে বলছে, মোদীর ‘ডাকবাক্সে’ দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ছে নিরন্তর। বিরোধীদের দাবি, সব ধরনের অভিযোগ মেলালে মনমোহন সিংহের জমানার থেকে মোদী জমানায় দুর্নীতির বহর বেড়েছে অন্তত আট থেকে দশ গুণ!

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০৪:১৫
Share:

চলতি মাসের শেষেই সরকারের জন্মদিন। তাঁরা কেমন ‘দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন’ গত চার বছর ধরে দিয়েছেন এবং আগামী দিনেও দেবেন, তা নিয়ে বিস্তর ঢাকঢোল পেটানোর প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীরা। কিন্তু খোদ সরকারের হিসেবই যে বলছে, মোদীর ‘ডাকবাক্সে’ দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ছে নিরন্তর। বিরোধীদের দাবি, সব ধরনের অভিযোগ মেলালে মনমোহন সিংহের জমানার থেকে মোদী জমানায় দুর্নীতির বহর বেড়েছে অন্তত আট থেকে দশ গুণ!

Advertisement

সরকারিতন্ত্রে যে কোনও ধরনের অভিযোগই সরকারকে সরাসরি জানাতে পারে আমজনতা। ‘পাবলিক গ্রিভান্স’ নামে এই সংক্রান্ত একটি দফতর আছে এবং সেটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল থেকেও যে কেউ সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদী দাবি করেছেন যে, তিনি দুর্নীতিমুক্ত সরকার দিতে পেরেছেন। কিন্তু তাঁর সরকারের হিসেব বলছে, মনমোহন জমানার তুলনায় মোদী-যুগে অভিযোগের বহর বহুগুণ বেড়েছে। আর তার বড় অংশই দুর্নীতি নিয়ে।

দফতরের সমীক্ষা বলছে, রান্নার গ্যাসে কালোবাজারি থেকে স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট পাওয়া থেকে নগরোন্নয়ন দফতরের অফিসারদের ঘুষ খাওয়া— হাজারো দুর্নীতির অভিযোগ আসছেই। বাদ যাচ্ছে না প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র থেকে বিচারব্যবস্থাও। যদিও সরকারের দাবি, অভিযোগ আগেও আসত। যত অভিযোগ আসে, সেগুলির দ্রুত সমাধানের চেষ্টা হয়।

Advertisement

প্রশ্ন হল, অভিযোগের পরিমাণ বাড়ছে কেন? প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘এটি ঠিক, আগের সরকারের থেকে অভিযোগ আসার পরিমাণ আরও বেড়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালে প্রতি বছরে গড়ে ২ লক্ষের মতো অভিযোগ আসত। এখন বছরে ১৬ লক্ষ আসে। এর মানে এই নয়, মোদী সরকারের উপর মানুষের অসন্তোষ বাড়ছে। বরং আমজনতা মনে করছে, এই প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করলে তার সমাধান হবে। প্রত্যাশা বেড়েছে বলেই অভিযোগের বহর বেড়েছে।’’

এই দাবি উড়িয়ে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ যে বাড়ছে, তা তো স্পষ্ট। গত লোকসভা ভোটে মোদী যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সবই মিথ্যা। তিনি মিথ্যা বলে মানুষকে বোকা বানিয়েছিলেন। আমজনতা সেটি এখন বুঝতে পারছে। চলতি মাসে সরকারের আর জন্মদিনের উৎসব পালন করার দরকার নেই। বরং মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ‘প্রায়শ্চিত্ত দিবস’ পালন করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন