বিদেশি নবদম্পতি। —নিজস্ব চিত্র।
প্রকৃতির রূপ-রসের পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতি এবং উপাদেয় খাদ্যের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে নতুন দেশেই পোলান্ডের এক দম্পতি আয়োজন করে ফেললেন বিয়ের অনুষ্ঠান। শনিবার এমন ঘটনারই সাক্ষী থাকল কাশ্মীর। ঝিলাম নদীর তীরে স্থানীয় রীতি মেনেই সম্পন্ন হল বাটা-লোডেকের বিয়ে। আমন্ত্রিত না হয়েও সেই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন শ’খানেকেরও বেশি মানুষ। লোকগীতি পরিবেশনে মেহফিল মাতালেন কাশ্মীরি মহিলারা।
নবদম্পতি জানান, গত বছর হঠাৎই তাঁরা কাশ্মীর ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। তখনই স্থির করেন অচেনা দেশেই শুরু করবেন জীবনের নতুন ইনিংস। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিবারের সদস্যেরা ফাঁস করেন আসল ঘটনা। বাটা-লোডেকের পরিচিত এক জনের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখেই কাশ্মীরি সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগ জাগে তাঁদের। আর এখানে পা রাখার পরেই মজে যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। তাঁরা মধুচন্দ্রিমায় পাড়ি দিচ্ছেন লাদাখে।
কাশ্মীরের খাবারও নবদম্পতির অন্যতম আকর্ষণ। তাঁদের চাহিদা অনুসারে খাদ্যসূচিতে রাখা হয়েছিল কাশ্মীরের ঐতিহ্যপূর্ণ ‘ওয়াজ়ওয়ান’। গোটা ব্যবস্থাপনারই দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের এক কাশ্মীরি বন্ধু।
বিয়ের অনুষ্ঠানে বাটার সাবেকি কাশ্মীরি সাজ যেন কাশ্মীরের প্রাকৃতিক শোভারই পরিপূরক। বাটা জানান, কাশ্মীরের বিখ্যাত খাবার ও সংস্কৃতিই টানেই তাঁরা এখানে নতুন জীবন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশ থেকে লোডেকের মন্তব্য, ‘‘শুধু প্রকৃতি বা সংস্কৃতিই নয়, কাশ্মীরের সব কিছুরই প্রেমে পড়েছে বাটা।’’