এম জে আকবরের মানহানির মামলা শুনবে আদালত।
#মিটু বিতর্কে এম জে আকবরের মানহানির মামলা শুনতে রাজি হল দিল্লির আদালত। দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালতে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর আইনজীবীরা এই মামলা করেন। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নিজে হাজির ছিলেন না। আগামী ৩১ অক্টোবর সশরীরে হাজির থেকে আকবরকে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া প্রাক্তন সাংবাদিক এম জে আকবরের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আনেন প্রিয়া রমানি নামে এক সাংবাদিক। এর পর গত কয়েক দিনে অন্তত ১৯ জন মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। তবে সেই সময় তিনি বিদেশ সফরে ছিলেন। দেশে ফিরে চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বুধবার তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়েছে।
যে বিবৃতি দিয়ে তিনি ইস্তফা দেন, সেখানেই মানহানির মামলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। উল্লেখ করেছিলেন আইনি লড়াইয়ের। সে জন্য ৯৭ জন আইনজীবীকেও কাজে লাগান তিনি। আর ইস্তফার পরের দিনই তাঁর আইনজীবীরা মামলা দায়ের করেন দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয়।
আরও পডু়ন: ‘গান গাওয়ার পরই অনু বললেন, কিস কর’,
এ দিন শুনানিতে আকবরের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী গীতা লুথরা। তিনি আদালতে জানান, ৪০ বছর ধরে তাঁর মক্কেল এম জে আকবর যে জনপ্রিয়তা ও সুনাম অর্জন করেছেন, প্রিয়া রমানির টুইটার পোস্টে তাঁর সেই সম্মানহানি হয়েছে। প্রিয়া রমানির ওই টুইট ১২০০ লাইক পড়েছে এবং দুই শতাধিক রিটুইট হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, তাঁর মক্কেলের সুনামের ক্ষতি হয়েছে।
আরও পডু়ন: ‘#মিটু’ আন্দোলন চালিয়ে যাব, বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগেও অনড় নন্দিতা
এই শুনানির পর আদালত মামলাটি গ্রহণ করতে সম্মতি জানায়। বিচারক সমর বিশাল নির্দেশ দেন, আগামী ৩১ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে আকবরকে। ওই দিন তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।
অন্য দিকে, আকবরের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে অভিযোগকারিণী সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। সংগঠনের বক্তব্য, প্রাক্তন সাংবাদিক আকবরের উচিত মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া।