রামপাল। —ফাইল চিত্র।
দু’জনেরই আশ্রম হরিয়ানার হিসারে। দুই ধর্মগুরুই অভিযুক্ত খুনের মামলায়। এক জন ডেরা প্রধান রাম রহিম অন্য জন সতলোক আশ্রমের প্রধান রামপাল। ধর্ষণের মামলায় ডেরা প্রধানের জেল হয়েছে কয়েকদিন আগে। আর রামপাল কয়েক বছর ধরে জেলেই রয়েছেন। তবে তার জন্য আজ কিছুটা স্বস্তির খবর। বিতর্কিত ধর্মগুরু রামপালকে তথ্যপ্রমাণের অভাবে দু’টি মামলায় রেহাই দিয়েছে হিসার আদালতের বিচারক মুকেশ কুমার। রাষ্ট্রদ্রোহ ও খুনের মামলা যদিও তার মাথার উপরে একই ভাবে ঝুলছে। তাই দু’টি মামলায় ছাড় মিললেও আজ জেল থেকে বের হতে পারেনি রামপাল। হিসার জেলেই বসেছিল আদালত। ফয়সালা হয়েছে সেখানেই।
গত শুক্রবার রাম রহিমের সমর্থকরা যে ভাবে হিংসা ছড়াল গোটা হরিয়ানা জুড়ে, তাতে রামপালকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গই আলোচনায় উঠে এসেছে। ২০১৪ সালে একটি খুনের মামলায় পুলিশ রামপালকে তার হিসারের আশ্রম থেকে গ্রেফতার করতে গেলে এমনই হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশকে আটকাতে পাথর, লাঠি আর অস্ত্র তুলে নিয়েছিল তার ভক্তরা। আশ্রমে উপস্থিত প্রায় ১৫ হাজার লোককে সামনে ঠেলে দিয়েছিলেন ধর্মগুরু। ওই সংঘর্ষের ঘটনার পরে আশ্রম থেকে বেশ ৪ জন মহিলার লাশ মেলে।
তবে সে দিন হাঙ্গামা করে পুলিশকে আটকানোর চেষ্টা এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রমে আটকে রাখার অভিযোগে আনা জোড়া মামলায় আজ রেহাই মিলেছে ‘সৎগুরু রামপালজী মহারাজ’-এর। রাম রহিমের বিরুদ্ধে জোড়া ধর্ষণের মামলা ঘিরে হরিয়ানা জুড়ে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, সে জন্য রামপালের মামলার রায়ের দিন পিছিয়ে দিয়েছিলেন বিচারক।
রামপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে তাঁর নির্দেশেই অনুচরেরা একটি গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের উপরে নির্বিচারে গুলি চালায়। যাতে ১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৬ জন। ওই ঘটনার পরে পুলিশ খুনের মামলা করলে আদালতের ৪০ টি শমন উপেক্ষা করে বিতর্কিত ধর্মগুরু।