ছবি: পিটিআই
ভারত কি করোনা টিকার সুফল পেতে শুরু করেছে? দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্য ও পশ্চিম ভারতের দুই শহরের পরিসংখ্যান সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের এই অংশগুলিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বয়ষ্কদের করোনা আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর সংখ্যা, এমনই দাবি করেছে একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সুফল মিলছে করোনা টিকার।
পৃথিবীর একাধিক দেশে টিকাকরণের সুফল ইতিমধ্যে নজরে পড়েছে। বহু দেশে বয়ষ্কদের টিকাকরণ আগে শুরু হওয়ায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে গিয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, দেশের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তথ্য বলছে এই বছর মার্চ মাস থেকে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়া বা মৃত্যু কমতে শুরু করেছে। ২০২১ সালের মে মাসে এই একই বয়সসীমার মানুষের মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের জুলাইয়ের থেকে কমে গিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে বেশ খানিকটা। একই ছবি দেখা গিয়েছে পুণের মতো বড় শহরেও। সেখানেও টিকাকরণের ফলে কমেছে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বের মানুষের করোনা আক্রান্ত হওয়া বা মৃত্যুর সংখ্যা। দক্ষিণের তিন রাজ্য, কেরল, তামিলনাড়ু ও কর্নাটকেও মিলেছে সুফল। মার্চের শেষ দিক থেকে এই তিন রাজ্যেও বয়ষ্কদের মৃত্যুর হার অনেকটাই কমতে থাকে, কমে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও। বৃহন্মুম্বই পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনার জানিয়েছেন, ‘‘শুধু টিকাকরণ নয়, বয়ষ্কদের চিকিৎসার সঠিক ব্যবস্থাও মুম্বইয়ে তাদের মৃত্যুর হার কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।’’
ভারত স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া শুরু করে এই বছর জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ থেকে। তারপর ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ও অন্য রোগে আক্রান্ত ৪৫ বছরে ঊর্ধ্বে মানুষদের টিকা দেওয়া শুরু হয় ১ মার্চ। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ৪৫ থেকে ৫৯ বছরের মানুষদের টিকাকরণ। তার পর১ মে থেকে ১৮-৪৫ বছরের টিকারকণের কর্মসূচি নেয় কেন্দ্র। দেশে ১২ মে পর্যন্ত ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দু’টি টিকা পেয়েছেন ৩ কোটি ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই বয়ষ্ক।