Nisith Pramanik

শান্তিপুর ও দিনহাটা পুনর্বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, তৃণমূল বলছে বড় ভয়ে পদত্যাগ

বুধবার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। দু’জনে যথাক্রমে দিনহাটা ও শান্তিপুর আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২১ ১০:১৪
Share:

ফাইল চিত্র।

একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার সদস্য থাকা যায় না। এই নিয়মের জন্য বুধবার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। দু’জনে যথাক্রমে দিনহাটা ও শান্তিপুর আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। আর তাতে ফের জয় মিলবে বলেই আশাবাদী বিজেপি। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, বাংলার সার্বিক যা ফল তার পরে ওই ২ আসনে বিজেপি-র জেতার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বরং, লোকসভা আসনে পরাজয়ের ভয়েই বিধায়ক পদ ছেড়েন নিশীথ ও জগন্নাথ।

Advertisement

২ দলের নেতারা যাই বলুক, এটা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য যে, উপনির্বাচনে এগিয়ে থেকে লড়াই শুরু করে শাসকদল। আর দিনহাটায় নিশীথের থেকে মাত্র ৫৯ ভোট কম পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। এবং এটাও ঠিক যে এই আসন উদয়নের ঘরের মাঠ। টানা ৬ বার এখানে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হিসেবে জয় পান উদয়নের বাবা কমল গুহ। ২০১১ সালে উদয়নও ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে জিতে পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৬ সালেও জিতেছিলেন।

তবে নিশীথের তুলনায় শান্তিপুরে অনেক বেশি ব্যাবধানে জয় পেয়েছেন জগন্নাথ। তাঁর ব্যাবধান ছিল ১৫ হাজার ৮৭৮ ভোট। তবে এই আসনেও অতীতে বড় জয়ের রেকর্ড রয়েছে তৃণমূলের। দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের বিধায়ক থাকা অজয় দে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে উপনির্বাচনে জোড়াফুল প্রতীকে জয় পান। ২০১৬ সালেও তৃণমূলের অরিন্দম ভট্টাচার্য জয় পান। তবে সেই সময়ে বিজেপি-র ভোট ছিল ৩.৭ শতাংশ। সেখান থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভোট প্রাপ্তি বেড়ে ৫৩.৭৪ শতাংশ হয়ে যায়। সেটা এ বার কমে হয় ৪৯.৯৪ শতাংশ। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোট বাড়িয়ে তৃণমূল ৪২.৭২ শতাংশে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে বিজেপি-র পাওয়া ভোটের একটা অংশ তৃণমূলে এসেছে। সেটা উপনির্বাচনে আরও একটু বাড়লেই কপালে ভাঁজ পড়বে বিজেপি-র।

Advertisement

যদিও এ সব সত্ত্বেও আশাবাদী বিজেপি। জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, ‘‘নির্বাচনের পরে যে ভাবে আমাদের কর্মীদের উপরে অত্যাচার চলছে, রাজ্য জুড়ে যে ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি তার জন্যই মানুষ আরও বেশি ভোট দেবেন আমাদের।’’

দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘আমরাই জিতব। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ওই ২ আসনের ভোটাররা বিজেপি-র উপরেই ভরসা রাখবেন।’’

এর পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘যারা নিজেদের বিশ্বের বৃহত্তম দল বলে, তারা প্রার্থী পায়নি। সাংসদদের দাঁড় করিয়েছিল। এখন বিধায়ক পদ ছেড়ে অযথা ২টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করল। তবে ওঁদের বিধানসভাতেই থাকা উচিত ছিল। কিন্তু ওঁরা বুঝেছেন, এখন উপনির্বাচন হোক বা লোকসভা— বিজেপি হারবে। শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশে। ইস্তফা দিয়ে ওই দুই সাংসদ সেটা স্পষ্ট করে দিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন