প্রাক্তন এবং বর্তমান। (বাঁ দিকে) জগদীপ ধনখড় এবং সিপি রাধাকৃষ্ণণ (ডান দিকে)। পিছনে দাঁড়িয়ে আরও দুই প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু এবং মহম্মদ হামিদ আনসারি। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে। ছবি: পিটিআই।
ভারতের পঞ্চদশ উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন। রাষ্ট্রপতি ভবনে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ প্রমুখেরা। সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। গত ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম জনসমক্ষে দেখা গেল তাঁকে।
পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ধনখড় হঠাৎ পদত্যাগ করায় উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। গত মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এনডিএ সমর্থিত প্রার্থী তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণন এবং বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সমর্থিত প্রার্থী তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি। ওই দিন সন্ধ্যায় ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। সুদর্শন পেয়েছেন ৩০০টি ভোট।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ২১ জুলাই বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে হঠাৎই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ধনখড়। হঠাৎ কেন তিনি পদত্যাগ করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী শিবির। শাসকশিবির অবশ্য জানায়, শারীরিক কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন ধনখড়। তাই এই বিষয়ে জল্পনাকল্পনার অবকাশ নেই বলে দাবি করা হয়।
ধনখড়ের উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্যই মঙ্গলবার ভোটাভুটি হয়। জয়ী রাধাকৃষ্ণন আগামী পাঁচ বছর ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। পদাধিকার বলে সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্বপালন করতে হবে রাধাকৃষ্ণনকে। ধনখড়ের আমলে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদেরা। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয়েছিল। রাধাকৃষ্ণন ‘নিরপেক্ষ’ আচরণ করবেন বলেই আশা বিরোধী শিবিরের।