গোমাংস: মেঘালয় বিজেপিতে ভাঙন

শেষ পর্যন্ত গোমাংস বিতর্কে ভাঙন শুরু হলো মেঘালয় বিজেপিতে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘বিফ অ্যান্ড বিচি (স্থানীয় মদ) পার্টির’ আয়োজন করেছিলেন প্রদেশ বিজেপি নেতাদের একাংশ।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৪:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

শেষ পর্যন্ত গোমাংস বিতর্কে ভাঙন শুরু হলো মেঘালয় বিজেপিতে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘বিফ অ্যান্ড বিচি (স্থানীয় মদ) পার্টির’ আয়োজন করেছিলেন প্রদেশ বিজেপি নেতাদের একাংশ। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাতে নারাজ। ফলে দল থেকে ইস্তফা দিলেন এক নেতা। আরও এত নেতাকে দল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কেন্দ্র গরু কেনাবেচা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করার পরেই মেঘালয়ে অসন্তোষ ছড়ায়। গোমাংস সেখানে জনপ্রিয় খাদ্য। মাংস ব্যবসায়ী, গো-হাটের ব্যবসায়ীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই নির্দেশ মানা সম্ভব নয়। আগামী ৮-৯ মাসের মধ্যে রাজ্যে ভোট। এই পরিস্থিতিতে গোমাংস বিতর্কে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করেছিল প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব।

পরিস্থিতি সামলাতে এএনভিসি জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তথা বর্তমানে বিজেপির নেতা বার্নার্ড সি মারাক দাবি করেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে গোমাংস নিষিদ্ধ তো হবেই না, উল্টে আরও সস্তা করা হবে। আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে উত্তর-গারো হিল বিজেপির জেলা সভাপতি বাচু মারাক ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘বিফ অ্যান্ড বিচি পার্টি’ করবেন বিজেপি নেতারা। ফলাও করে ফেসবুকে সে কথা ঘোষণাও করেন তিনি। খবর
পেয়েই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কড়া নিষেধাজ্ঞা পাঠায়। শিলংয়ে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা নলিন কোহলি বলেন, ‘‘বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলীয় অনুশাসনের ঊর্দ্ধে উঠে দলের ভাবমূর্তি খারাপ করা চলবে না।’’ তিনি বাচুকে দল ছাড়তে বলেন। বার্নার্ডের জবাবদিহি তলব করা হয়। কোনও জবাবদিহি না করে আজ ইস্তফা দেন বার্নার্ড। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি উপজাতি ও খ্রিস্টানদের উপরে হিন্দুত্ব চাপাতে চাইছে। আমরা নিজেদের মতো করে উৎসব করলে মানুষের মন থেকে শঙ্কা দূর হত।’’ তাঁর বক্তব্য, গোমাংস নিয়ে তাদের মনোভাবই বিজেপিকে এ রাজ্যে মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। সুবিধা পাবে কংগ্রেস।

Advertisement

কোহলি অবশ্য মনে করছেন দু’জনের দলত্যাগে কোনও প্রভাব ভোটে পড়বে না। দলে যোগ্যতর নেতারও অভাব নেই। যদিও গোমাংস নিয়ে প্রদেশ বিজেপি নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্য বিজেপির এক সূত্রের বক্তব্য, দল আরও ভাঙবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন