Land Subsidence

জোশীমঠের পর এ বার উত্তর কাশী, ভারী বৃষ্টিতে নতুন করে ফাটল একটি গ্রামে, আতঙ্কে বাসিন্দারা

গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “কিছু বাড়িতে আবার নতুন করে ফাটল দেখা গিয়েছে। আমরা জানি না, ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “সরকারের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ১৭:২৯
Share:

বাড়ির ফাটল দেখছেন এক বাসিন্দা। —পিটিআই।

জোশীমঠের ফাটল-বিপর্যয়ের স্মৃতি আবার উস্কে দিল উত্তরাখণ্ডেরই উত্তর কাশী জেলা। ভারী বৃষ্টিপাতের পর সেখানকার একটি গ্রামের বহু বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় সমীক্ষা চালানোর জন্য ভূতত্ত্ববিদদের একটি দলকে এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। ওই বিশেষজ্ঞদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাইছে স্থানীয় প্রশাসন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর কাশীর মাস্তাদি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হঠাৎই ফাটল লক্ষ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে একটি ভূমিকম্পের পর ওই এলাকার একাংশ বসে যায়। তখন কিছু বাড়িতে ফাটলও দেখা যায়। তার পর আবার নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় উদ্বেগে বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সত্যনারায়ণ সেমওয়াল বলেন, “কিছু বাড়িতে আবার নতুন করে ফাটল দেখা গিয়েছে। আমরা জানি না, ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে।” তাঁর সংযোজন, “সরকারের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ৩০টি বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। সেই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া উচিত প্রশাসনের।”

জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক দেবেন্দ্র পাটওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা ভূতত্ত্ববিদদের একটা দলকে এলাকায় পাঠাচ্ছি। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” গত জানুয়ারি মাসে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে ফাটলের জেরে বহু মানুষ ঘরছাড়া হন। তার পর আবার উত্তর কাশী জেলার এই ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন