‘অপরাধের জয় হল!’ কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা

অপরাধের সময় নাবালক থাকায় তাকে তিন বছরের সাজা দিয়েছিল আদালত। আগামী রবিবার তিন বছরের শাস্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরই রিমান্ড হোম থেকে মুক্তি পেতে চলেছে সে। এই অপরাধীর মুক্তি আটকাতে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনম স্বামী। এর পরেই আদালত রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:০৪
Share:

এই সভাতেই মেয়ের নাম বললেন কুণ্ঠাহীন মা। রয়েছেন শাবানা আজমি। বুধবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

‘‘এটা অপরাধের জয়।’’ নির্ভয়া কাণ্ডে নাবালক দোষীকে মুক্তি না দেওয়ার আবেদন খারিজ হওয়ার পর এই ভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা।

Advertisement

অপরাধের সময় নাবালক থাকায় তাকে তিন বছরের সাজা দিয়েছিল আদালত। আগামী রবিবার তিন বছরের শাস্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরই রিমান্ড হোম থেকে মুক্তি পেতে চলেছে সে। এই অপরাধীর মুক্তি আটকাতে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মনম স্বামী। এর পরেই আদালত রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। ফলে এই অপরাধী আদৌ মুক্তি পাবে কি না তা নিয়ে যুক্তিতর্ক ক্রমশই বাড়ছিল। কিন্তু আদালতের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি রাজ্য। তার মুক্তি আটকাতে আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছে নির্ভয়ার পরিবার। আর তাঁদের পাশে ছিল গোটা দেশ। তবু বহাল রইল আদালতের আগের রায়।

আদালতের রায় ঘোষণার পর এ দিন নির্ভয়ার মা বলেন, ‘‘তিন বছর ধরে লড়াই করছি সুবিচারের জন্য। কিন্তু জয় সেই অপরাধেরই হল।’’

Advertisement

দিনটা ছিল ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২। দিল্লিতে এক শীতের রাতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয়েছিল তাঁর মেয়েকে। তার পর দেশ জুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দেশবাসীর কাছে তাঁর মেয়ে হয়ে উঠেছিল ‘নির্ভয়া’। গতকালই মেয়ের মৃত্যুর তিন বছর পর সমস্ত কুন্ঠা ত্যাগ করে নির্ভয়ার আসল নাম বলেন তিনি। জ্যোতি সিংহ। ছলছল চোখে জানতে চান, ‘‘এ কেমন কী বিচার!’’ সে দিন চিৎকার করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি না ওর বয়স ১৬ না ১৮। শুধু জানি, ও একটা নৃশংস অপরাধ করেছে। আর এমন অপরাধীর কোনও বয়স-সীমা হতে পারে না।’

পড়ুন:
শাস্তি বাড়ল না, রবিবারই ছাড়া পাচ্ছে নির্ভয়া কাণ্ডের নাবালক অপরাধী

আমার মেয়ের নাম জ্যোতি, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement