Huge Money Recovered

ভিজিল্যান্স হানা! বান্ডিল-বান্ডিল নোট জানলা দিয়ে ফেলতে শুরু করলেন সরকারি ইঞ্জিনিয়ার, সাতটি ঠিকানায় চলছে তল্লাশি

ওই ইঞ্জিনিয়ারের নাম বৈকুণ্ঠনাথ ষড়ঙ্গী। তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠছিল অনেক দিন ধরেই। শুক্রবার সকাল থেকেই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ১১:৫৯
Share:

ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে উদ্ধার হওয়া টাকা। ছবি: সংগৃহীত।

ঘরের ভিতরে থরে থরে সাজানো ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে টাকার ‘পাহাড়’ দেখে চমকে উঠলেন ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকেরা। ওড়িশায় এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

ইঞ্জিনিয়ারের নাম বৈকুণ্ঠনাথ ষড়ঙ্গী। তিনি রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরে মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারের পদে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠছিল অনেক দিন ধরেই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দেন ভিজিল্যান্সের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা বাড়ি পৌঁছোতেই ওই ইঞ্জিনিয়ার জানলা থেকে রাস্তায় টাকার বান্ডিল ছুড়ে ফেলতে শুরু করেন। ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে ৫০০ টাকার বান্ডিল রাস্তায় পড়তে দেখে স্থানীয়েরাও হতভম্ব হয়ে যান। শোরগোল পড়ে যায় এই ঘটনা ঘিরে।

ভিজিল্যান্স সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে দু’কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে আনা হয়েছিল যন্ত্রও। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযানে যেতেই ইঞ্জিনিয়ার তাঁর বাড়ির জানলা দিয়ে রাস্তায় টাকা ফেলতে শুরু করেন। তাঁর বাড়ি থেকে আপাতত দু’কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারের ভুবনেশ্বরের বাড়ি থেকে এই টাকার ‘পাহাড়’ উদ্ধার হয়েছে। শুধু ভুবনেশ্বরই নয়, ইঞ্জিনিয়ারের সাতটি ঠিকানাতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ভিজিল্যান্সের আধিকারিকেরা।

Advertisement

সূত্রের খবর, ভুবনেশ্বর, অঙ্গুল, পিপিলিতে (পুরী) মোট সাতটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। ভুবনেশ্বরের বাড়ি থেকে নগদ এক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। অন্য দিকে, অঙ্গুল জেলায় ইঞ্জিনিয়ারের আরও একটি বাড়ি থেকে নগদ এক কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, আরও টাকা উদ্ধার হতে পারে। শুক্রবার সকালে ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ভিজিল্যান্সের আট জন ডেপুটি পুলিশ সুপার, ১২ জন ইনস্পেক্টর, ছ’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর এবং আরও কয়েক জন প্রশাসনিক আধিকারিক। অঙ্গুলের ভিজিল্যান্স আদালতের বিচারকের নির্দেশেই এই তল্লাশি অভিযান বলে সূত্রের খবর।

ভিজিল্যান্স সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারের দোতলা একটি বাড়ি রয়েছে অঙ্গুলে, একটি ফ্ল্যাট ভুবনেশ্বরে, পুরীর সিউলায় আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সবক’টিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ছাড়াও অঙ্গুলে ইঞ্জিনিয়ারের আত্মীয়ের বাড়ি, তাঁর পৈতৃক বাড়ি এবং অফিসেও তল্লাশি চলছে। ইঞ্জিনিয়ারের সম্পত্তির পরিমাণ কত তা এখনও স্পষ্ট হয়নি বলে সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement