National News

সিরসায় কার্ফু, রোহতকে ২৮ কোম্পানি আধা-সেনা, কপ্টারে জেলে যাবেন জজ

সোমবার সাজা ঘোষণা হবে রাম রহিমের। সাজা ঘোষণার পর ফের ডেরা অনুগামীরা তাণ্ডব চালাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। তাই সিরসায় কার্ফু জারি করা হয়েছে রবিবার থেকেই। যে রোহতকে গিয়ে সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক, সেই রোহতকে ২৮ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৭ ১৬:০৯
Share:

সিরসায় চলছে সেনার ফ্ল্যাগ মার্চ। ছবি: পিটিআই।

রায় ঘোষণা হতেই হাত এবং মুখ, দুই-ই পুড়েছে হরিয়ানা সরকারের। সাজা ঘোষণা হলে কী হবে? জল্পনা এখন তা নিয়েই। আর কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না হরিয়ানার প্রশাসন। পঞ্চকুলা, চণ্ডীগড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় তো মুড়ে ফেলা হয়েইছে। দুর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছে রোহতককেও। ২৮ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে গোটা শহর জুড়ে। সোমবার এই রোহতকের জেলেই বসবে বিশেষ সিবিআই আদালত। জেলের ভিতরে তৈরি হওয়া অস্থায়ী এজলাসে গিয়েই বিচারক জগদীপ সিংহ আগামী কাল গুরমিত রাম রহিম সিংহের সাজা ঘোষণা করবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভূমিশয্যায় রাম রহিম, আপাতত ক্ষান্ত ভক্তরা

পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশেই সোমবার রোহতকের জেলে এজলাস বসানো হচ্ছে। বিশেষ সিবিআই আদালত ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করার পর শুক্রবার হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব জুড়ে যে ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালিয়েছেন ডেরা সচ্চা সৌদার অনুগামীরা, তার প্রেক্ষিতেই সোমবার জেলের ভিতরে এজলাস বসানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক জগদীপ সিংহকে উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে আকাশপথে (হেলিকপ্টারে) রোহতকের জেলে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এজলাস বসানোর জন্য আদালতের যে কর্মীদের প্রয়োজন, তাঁদেরও একই ভাবে জেলে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতর ঘিরে তৎপরতা সেনাবাহিনীর। ছবি: পিটিআই।

উত্তেজনা প্রবল সিরসাতেও। হরিয়ানার এই শহরেই ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতর। শুক্রবার থেকেই উত্তপ্ত সিরসা। সে দিন সিরসায় ডেরা অনুগামীদের হাতে পুলিশ তো আক্রান্ত হয়েইছিল, আক্রান্ত হয়েছিল সংবাদমাধ্যমও। তার পর থেকে সিরসায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। নামানো হয়েছে সেনা। সিরসায় ফের কার্ফুও জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বাসের নামে হিংসা বরদাস্ত নয়, মন খুললেন ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী’

ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরের ভিতরে বাবা রাম রহিমের অন্তত ৩০ হাজার অনুগামী রয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে। সোমবার রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর এই বিশাল জমায়েত ফের সিরসায় তাণ্ডব চালাতে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। তাই বার বার মাইকিং করে ডেরার সদর দফতর ছেড়ে সকলকে বেরিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সদর কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে অভিযান চালানোর নির্দেশ এখনও পায়নি সেনা। তাই ১০০০ একর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আশ্রমকে সব দিক থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে রাম রহিমের অনুগামীরা রবিবার ডেরা ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন এবং বাড়ির পথ ধরছেন বলেও প্রশাসনের দাবি। ফলে ডেরার ভিতরে জমায়েতের আকার ধীরে ধীরে কমছে বলেই খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন