corona

Today's Covid Update: করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রাজধানী, দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৭৩৮

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৭৩৮। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৪০ জন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২২ ১১:০৪
Share:

২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৫.০২ শতাংশ। ফাইল চিত্র

দেশ জুড়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণের রেখচিত্র শনিবার ১৯ হাজারের গণ্ডি পেরোলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা সামান্য কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্য ১৮,৭৩৮। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ১৯,৪০৬। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের গণ্ডি পার করে ২,৩১১-এ পৌঁছেছে। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় দিল্লির পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র (১,৯৩১), কর্নাটক (১,৬৯৪), কেরল (১,১১৩) ও তামিলনাড়ু (১,০৯৪)।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৮,৫৫৮ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ১১০ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও কেরলে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দু’রাজ্যে নয় জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তীসগঢ়ে চার জন, মণিপুরে তিন জন, মধ্যপ্রদেশে দু’জন এবং মেঘালয়, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, বিহার ও ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, দিল্লি, চণ্ডীগড় ও কর্নাটকে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৪৯। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ২৫২। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৫.০২ শতাংশ। শনিবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.৯৬ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৬ কোটি ২১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪১১ টিকাকরণ হয়েছে।

Advertisement

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন