— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা বাবার কাছে ফাঁস করে দিয়েছিল মেয়ে। তারপরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করলেন যুবতী। তার পর সব দোষ চাপালেন প্রেমিকের ঘাড়ে! সম্প্রতি হরিয়ানার গুরুগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে মহিলা ও তাঁর প্রেমিকসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম বিক্রম (৩৭)। বিহারের নওদার বাসিন্দা বিক্রম, স্ত্রী সোনি দেবী এবং কন্যার সঙ্গে গুরুগ্রামের শিল্পবিহারের দুন্দাহেরা গ্রামে থাকতেন। গত ২৮ জুলাই তাঁর স্ত্রী গুরুগ্রাম পুলিশের কাছে স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এর তিন দিন পর, ৩১ জুলাই, আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন সোনি। তাঁর দাবি ছিল, চলতি বছরের মার্চ মাসে তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকাকালীন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন তাঁদেরই প্রতিবেশী রবীন্দ্র। সোনি আরও দাবি করেন, রবীন্দ্র গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে তাঁকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জোড়া মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। আর তাতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য।
জানা যায়, গত এক বছর ধরে ৩৫ বছরের সোনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ৩৪ বছরের রবীন্দ্রের। বিক্রম ও সোনির মেয়ে সম্প্রতি মায়ের ফোনে প্রতিবেশীর সঙ্গে মায়ের একটি আপত্তিকর ভিডিয়ো দেখে ফেলে। বিষয়টি বাবাকেও জানায় সে। সেই থেকেই দম্পতির মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। অন্য দিকে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে যেতেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র ছকতে শুরু করেন সোনি। তার পর স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই সুযোগ বুঝে একদিন দু’জনে মিলে তাঁকে খুন করেন।
গুরুগ্রাম পুলিশের এএসআই সন্দীপ বলেন, ‘‘তদন্তে নেমে রবীন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সোনির সঙ্গে তাঁর গত এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একদিন সোনির মেয়ে মায়ের ফোনে তাঁদের একটি অপ্রীতিকর ভিডিয়ো দেখে ফেলে। এর পরেই স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন সোনি।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুনের আগে দু’জনে ইউটিউবে খুন করা এবং দেহ লোপাটের উপায় খুঁজে দেখেছিলেন। গত ২৬ জুলাই, কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় রবীন্দ্র ও তাঁর সহযোগীরা বিক্রমকে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। দেহটি পুঁতে দেন মোহাম্মদপুর ঝারসা গ্রামের কাছে। রবীন্দ্রের দেখানো জায়গা থেকে বিক্রমের দেহও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।