ইকবাল কাসকর। ছবি: সংগৃহীত।
বোনের বাড়িতে বসে নিশ্চিন্তে বিরিয়ানি খাচ্ছিল। আর চোখ ছিল টেলিভিশনের পর্দায়। সঞ্চালকের আসনে বসে অমিতাভ বচ্চন তখন বেশ জমিয়ে দিয়েছেন ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’। তাতেই মজে ছিলেন ইকবাল ইব্রাহিম কাসকর। আন্ডারওর্য়াল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ভাই। হঠাৎই দরজায় কলিং বেলের আওয়াজ। দরজা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে আসেন ঠাণে পুলিশের অপরাধদমন শাখার তোলাবাজি সেলের অফিসারেরা। সোমবার রাতে ওই ফ্ল্যাট থেকেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে কাসকর। সঙ্গে ছিল কাসকরের আরও দুই সঙ্গী।
ঠাণের পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ জানিয়েছেন, সোমবার কাসকরকে তার বোন হাসিনা পার্কারের দক্ষিণ মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে ধরা হয়ছে। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে কাসকর-সহ তিন জনের আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন
তর্পণ করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাদা
তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ, ছেলেকে খুন করালেন মা!
দক্ষিণ মুম্বইয়ে বোনের ফ্ল্যাট থেকে ধরা পড়ল কাসকর। ছবি: সংগৃহীত।
বহু দিন ধরেই ঠাণে, মুম্বই ও নভি মুম্বইয়ের একাধিক নির্মাণ ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায় করছিল কাসকর ও তার দলবল। অভিযোগ, পাকিস্তানে বসেই দাউদ ইব্রাহিমই তার ভাই কারকরকে দিয়ে ওই তোলাবাজির চক্র চালাচ্ছিল। শেষমেশ মুম্বইয়ের এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতেই কাসকরের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন ঠাণের তোলাবাজি সেলের দায়িত্বে থাকা প্রদীপ শর্মা। তাঁর নেতৃত্বেই কাসকরকে ধরার পরিকল্পনা করা হয়। এ দিন পরমবীর সিংহ বলেন, “স্থানীয় এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ও একটি ফ্ল্যাটের দাবি করেছিল কাসকর। এলাকার অন্য ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছেও তোলা আদায় করছিল সে। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, দাউদ ও তার ভাই কাসকরের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ দমন আইন (মকোকা)-এর অভিযোগ আনার কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।