— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভারতের প্রত্যাঘাতের পর ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। পঞ্জাব ও রাজস্থানে জারি হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’। সেই আবহে বৃহস্পতিবার ভোরে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন এক যুবক। সেটাই কাল হল। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল তাঁর।
বিএসএফের বিবৃতি অনুসারে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে পঞ্জাবের ফিরোজপুর এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন এক পাকিস্তানি নাগরিক। বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বিএসএফের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারী রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। তখনই তাঁকে দেখে ফেলেন সীমান্তরক্ষীরা। কিন্তু অভিযোগ, তাঁরা যুবককে এগোতে বারণ করা সত্ত্বেও তিনি শোনেননি। ধীর পায়ে কাঁটাতারের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে বাধ্য হন সীমান্তরক্ষীরা।
এর আগে গত রবিবার পঞ্জাবের গুরদাসপুরে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করেছিল বিএসএফ। দরিয়া মনসুর সীমান্ত চৌকির কাছে একটি ঝোপে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর কাছে পাকিস্তানের পরিচয়পত্রও মিলেছে। মহম্মদ হুসনাইন নামে ওই যুবক বর্তমানে পঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তারও আগে, রাজস্থানে একই ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ঢোকার সময় এক জন পাক রেঞ্জারকে আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তাঁকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিএসএফ।
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রত্যাঘাত হিসাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি এলাকায় জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। তার পর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে সীমান্তে। পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী দুই রাজ্য পঞ্জাব এবং রাজস্থানে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। দুই রাজ্যেই সমস্ত পুলিশকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বায়ুসেনাকেও।