হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট

বাণিজ্যনগরীর ইএসআইসি কামগর হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট। সোমবারই ছ’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। মঙ্গলবার আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে মাস ছয়েকের একটি শিশুও। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১৭
Share:

প্রতিবাদ: মুম্বইয়ে ইএসআইসি কামগর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই

বাণিজ্যনগরীর ইএসআইসি কামগর হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট। সোমবারই ছ’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। মঙ্গলবার আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে মাস ছয়েকের একটি শিশুও।

Advertisement

কলকাতার আমরি হাসপাতালের মতো মুম্বইয়ের অন্ধেরীর এই হাসপাতালেও শ্বাসকষ্টের ফলে অধিকাংশ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডার সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। মহারাষ্ট্র সরকার এবং শ্রম মন্ত্রককে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। চার সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। শহরের নানা হাসপাতালে তিন জন দমকল কর্মী-সহ মোট ১৭৯ জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানান পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক। ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত কাল প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ২৬ জনকে।

দমকল জানাচ্ছে, শর্ট সার্কিটের ফলে হাসপাতালের নীচের তলায় জমিয়ে রাখা রবারের রোলে আগুন লাগে। সেখান থেকেই এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময়ে (বিকেল চারটে) ‘ভিজ়িটিং আওয়ার্স’ চলায় পাঁচতলা ওই সরকারি হাসপাতালে অন্তত ৩৭৫ জন উপস্থিত ছিলেন। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তিন এবং চারতলায় আটকে পড়েন অন্তত ১৫৫ জন। দমকলকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করতে হাত লাগান স্থানীয়রাও। দশটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সন্ধে সা়ড়ে সাতটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

অগ্নি নিরীক্ষা (ফায়ার অডিট) করানোর দায়িত্ব মহারাষ্ট্রের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (এমআইডিসি)। তারা ঠিক সময়ে তা করিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুম্বইয়ের মেয়র ভি মহাদেশ্বর।

যদিও এমআইডিসির ডেপুটি চিফ ফায়ার অফিসার এম ডি অগলে জানান, দিন পনেরো আগেই অগ্নি সুরক্ষা (ফায়ার সেফটি টেস্ট) পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি ওই হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় চূড়ান্ত পর্যায়ের ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ ছিল না বলেই জানান তিনি।

মৃতদের নিকটতম আত্মীয়কে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে শ্রম মন্ত্রক। এক থেকে দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হবে আহত এবং মৃত শিশুটির পরিবারকে। সাহায্যের জন্য দিল্লির ইএসআইসি হাসপাতাল থেকে ডাক্তারের একটি দলকে মুম্বইয়ে পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন