Assam

অসমের চা-বাগানে মৃত্যুর মিছিল, বিষ মদের বলি অন্তত ৮০

জোরহাটের চা-বাগানেও শুরু হয়েছে মৃত্যু মিছিল। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২০ ছাড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে নয় মহিলা এবং ১১ জন পুরুষ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর কথায়,‘‘ পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় জেলা হাসপাতাল এবং অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসকের এখানে চলে আসতে বলেছি। প্রতি দশ মিনিটে বদলে যাচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:১৮
Share:

গোলাঘাটের কোনোয়ার হাসপাতাল। ছবি: পিটিআই।

অসমের চা-বাগান এখন যেন মৃত্যুপুরী। এক দিকে জোরহাট, অন্য দিকে গোলাঘাট, দুই জেলা থেকেই প্রতি মুহূর্তে এসে পৌঁছচ্ছে নতুন করে মৃত্যুর খবর। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৮০ ছাড়িয়েছে। যদিও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমনটাই আশঙ্কা প্রশাসনের। কারণ, বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও ভর্তি অন্তত ৩০০ জন, যাঁদের অনেকের অবস্থাই বেশ সঙ্কটজনক। পুলিশের অনুমান, চা-বাগানে বিক্রি হওয়া বেআইনি মদে বিষক্রিয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা।

Advertisement

গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার পূর্বে গোলাঘাটের একটি চা-বাগান জুড়ে এখন শুধু স্বজন হারানোর কান্না। এখনও পর্যন্ত এখানে মারা গিয়েছেন অন্তত ৬০ জন চা-বাগানের শ্রমিক এবং পরিজন। হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ৩০০ জন, যাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমনটাই আশঙ্কা প্রশাসনের।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে চা-বাগানের মধ্যেই একটি ঝুপড়ি থেকে মদ বিক্রি করছিলেন৬৫ বছরের এক মহিলা এবং তাঁর ৩০ বছরের ছেলে। সেই মদ খাওয়ার পরই অসুস্থ হতে শুরু করেন সবাই। শুক্রবার থেকে আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর। মা ও ছেলে দু’জনেই বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে কার্পেট ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণ, মৃত ১১-র মধ্যে ৯ জনই এ রাজ্যের

গোলাঘাটের সরকারি হাসপাতালের বাইরে শবদেহের লাইন। ছবি: পিটিআই।

জোরহাটের চা-বাগানেও শুরু হয়েছে মৃত্যু মিছিল। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২০ ছাড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে নয় মহিলা এবং ১১ জন পুরুষ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর কথায়,‘‘ পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় জেলা হাসপাতাল এবং অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসকদের এখানে চলে আসতে বলেছি। প্রতি দশ মিনিটে বদলে যাচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা।’’

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান, উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল ১০ হাজার সেনা

এখানেও মৃত্যুর মিছিল চা-বাগানেই। বৃহস্পতিবার সারা সপ্তাহের খাটনির পর মজুরি পাওয়ায় মদ খেতে গিয়েছিলেন চা-শ্রমিকদের অনেকেই। সেখান থেকেই বিপত্তি। কী ভাবে এই বিষমদ প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। শোক জানিছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন