ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে দিল্লিতে মৃত ৫

খাস দিল্লিতে বর্জ্যের ট্যাঙ্ক সাফ করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। রবিবার পশ্চিম দিল্লির মোতি নগরের ঘটনা। মৃতেরা হলেন, সরফরাজ, পঙ্কজ, রাজা, উমেশ এবং বিশাল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৯
Share:

খাস দিল্লিতে বর্জ্যের ট্যাঙ্ক সাফ করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। রবিবার পশ্চিম দিল্লির মোতি নগরের ঘটনা। মৃতেরা হলেন, সরফরাজ, পঙ্কজ, রাজা, উমেশ এবং বিশাল। অ্যাপার্টমেন্টের বেসমেন্টে ৩০ ফুট গভীর ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করতে গিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। দু’জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকি তিন জন মারা যান হাসপাতালে। অভিযোগ, কারও দস্তানা বা মুখোশ ছিল না।

Advertisement

একটি অ্যাপার্টমেন্টের কর্মীরা ফোন করে পুলিশকে ঘটনার কথা জানান। বিজেপি নেতা ভারতভূষণ মদন বলেন, ‘‘এই ঘটনার জন্য আপ সরকার দায়ী। দিল্লিতে প্রথম বার এই ঘটনা ঘটল না। আপ সরকার কথা দিয়েছিল, এই কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার করবে। কিন্তু এতগুলি মৃত্যুর পরেও সেই পুরনো পদ্ধতিতেই নর্দমা, সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা হচ্ছে।’’ পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সরকার। দিল্লির ওই আবাসনের নির্মাতা সংস্থা জানিয়েছে, আলাদা একটি পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার কাজ করানো হত। ওই সংস্থাকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি সরকারি সংস্থা—জাতীয় সাফাই কর্মচারী অর্থ এবং উন্নয়ন নিগমের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, ম্যানহোল বা নর্দমায় নেমে হাত দিয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করেন, এমন সাফাই কর্মীর সংখ্যা ৫৩ হাজারের বেশি। অথচ গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার। এই সমীক্ষায় অবশ্য বেশ কয়েকটি রাজ্য বাদ পড়েছিল। সব জেলাতেও সমীক্ষা করা হয়নি। সাফাই কর্মচারী আন্দোলনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে অন্তত ২৬ লক্ষ লোক শৌচালয় পরিষ্কার করেন, ৭ লক্ষ ৭০ হাজার পরিষ্কার করেন নর্দমা। ১৯৩৩ সালে খালি হাতে বর্জ্য পরিষ্কার নিষিদ্ধ করা হয় ভারতে। যদিও উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া সেপটিক ট্যাঙ্ক, নর্দমা পরিষ্কার নিষিদ্ধ হয় সম্প্রতি, ২০১৩ সালের সংশোধিত একটি আইনে। ওই নিগমের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরও নর্দমা বা সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০০ জনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement