ধসে পড়ছে কারখানার ছাদ। ছবি: সংগৃহীত।
আগুন লেগেছিল প্লাস্টিক কারখানায়। তা নিভিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তেও এনে ফেলেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু তখনই আচমকা ভেঙে পড়ল কারখানাটি!
গত কাল লুধিয়ানায় ওই ভয়াবহ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩। ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আজ ঘটনাস্থলে যান নভজ্যোত সিংহ সিধু। গত কালই তিনি আশ্বাস দেন, ওই ভবনটি যদি বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে, তা হলে লুধিয়ানা পুর-অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
সোমবার সকাল আটটা নাগাদ। লুধিয়ানার সুফিয়ানা চকের কাছে মুস্তাক গঞ্জের আমারসন পলিমার্স-এর পাঁচতলা প্লাস্টিক কারখানায় তখন কাজ চলছে। সেখানেই আচমকা আগুন লাগে। ওই অবস্থায় তখন কারখানায় আটকে পড়েন অনেকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলকর্মীরা। চার ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি যখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে, তখনই ফের বিপর্যয়! হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে গোটা বিল্ডিংটাই।
কিন্তু ঠিক কত জন ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে, তা স্পষ্ট নয়। অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার ভূপেন্দ্র সিংহ জানান, ন’জন দমকলকর্মীও ধ্বংসস্তূপে আটকে যান। দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কারখানা মালিক ইন্দ্রজিৎ সিংহ গোলার বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তিনিও হাসপাতালে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ কালই টুইট করে শোক জানান। সেই সঙ্গে তিনি জানান, এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি কমিশনও গড়া হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া দমকলকর্মীদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পরিবারের এক জনকে চাকরিও দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।