National News

রবিবার শপথ কেজরীবালের, আরও জোরদার বিরোধী ঐক্যের প্রস্তুতি

আজই বৈঠকে বসছেন আপ বিধায়করা। সেখানে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচন হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:১৮
Share:

দিল্লির রাজভবনে অরবিন্দ কেজরীবাল। ছবি: পিটিআই

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণের মঞ্চ হয়ে উঠেছিল বিরোধীদের ঐক্য ও শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ। অরবিন্দ কেজরীবালের দিল্লি জয়ে সেই ঐক্য আরও মজবুত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরীবাল শপথ নেবেন আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি, রবিবার। দিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে। আজ বুধবার দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শপথের দিনক্ষণ জানিয়ে এসেছেন কেজরীবাল।

Advertisement

আজ সাত সকালেই রাজভবনে গিয়ে উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অরবিন্দ কেজরীবাল। প্রায় ১৫ মিনিট কথা হয় দু’জনের। তার পরেই আম আদমি পার্টি (আপ)-র সূত্রে জানানো হয় রবিবার তৃতীয় বারের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন কেজরীবাল।

তবে শপথের আগে সাংবিধানিক নিয়ম মেনে রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কেজরীবাল। অন্য দিকে আজই বৈঠকে বসছেন আপ বিধায়করা। সেখানে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচন হবে। সেখানে কেজরীবালই যে দলনেতা হতে চলেছেন, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তার পর সরকার গঠনের দাবি জানাবেন দলনেতা।

Advertisement

আরও পড়ুন: আপ বিধায়কের কনভয়ে গুলি, হত ১, পুলিশ বলছে ‘ব্যক্তিগত শত্রুতা’

কিন্তু সাংবিধানিক এই নিয়মকানুনের বাইরেও সবচেয়ে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে শপথের মঞ্চে কারা কারা থাকবেন তা নিয়ে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস জোটের বিপুল জয়ের পরে হেমন্ত সোরেনের শপথে যে ছবি দেখা গিয়েছিল, কেজরীবালের শপথগ্রহণের মঞ্চ তার চেয়েও ব্যাপ্তিতে বড় হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আপ সূত্রে খবর, কংগ্রেস-সহ বিরোধী সব দলের নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। থাকতে পারেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে আপ সূত্রে খবর, আগে দলনেতা নির্বাচন, সরকার গঠনের দাবি জানানো-সহ যাবতীয় সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার পর্ব সারা হওয়ার পরেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো শুরু হবে।

আরও পড়ুন: মেরুকরণের ধার কি কমছে? আপ-ঝড়ে অমিত কোথায়

৭০ আসনের দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। কেজরীবালের দল আপ জিতেছে ৬২ আসনে। উল্টোদিকে মাত্র ৮টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। কংগ্রেসের হাতে একটি আসনও নেই। ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর কেজরীবাল বলেছিলেন এক ‘নয়া ঘরানার রাজনীতি’র সূচনা হল দিল্লিতে। স্কুল, মহল্লা ক্লিনিক, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ, বিনা পয়সায় জল, মহিলাদের বিনামূল্যে বাস যাত্রার মতো জনমুখী প্রকল্পের সাফল্যেই ভোট দিয়েছেন দিল্লিবাসী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন