অংশু প্রকাশ।
আপের অভিযুক্ত বিধায়কদের শাস্তি দিতে দিল্লিতে আমলাদের নজিরবিহীন বিক্ষোভ জন্ম দিয়েছে বিতর্কেরও। আমলাদের একাংশের দাবি, তাঁদের বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের শাসক দলের নির্দেশেই পথে নেমেছিলেন তাঁরা।
বিভক্ত আমলাকূলও। ঘটনার প্রতিবাদে কমর্রত ও অবসরপ্রাপ্তদের সই সংগ্রহে নেমেছিল আমলাদের সংগঠন। বিভাজন তাতেও। অনেক সই করলেও, রাজি হননি একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, কেজরী সরকারকে কাজ না করতে দিতে কেন্দ্রের উস্কানি গত তিন বছরে স্পষ্ট। আর আপ শিবিরেরও অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশের সঙ্গে বিজেপির সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আপ নেতা সঞ্জয় সিংহের অভিযোগ, ‘‘বিভিন্ন জনমুখী কাজে বাধার সৃষ্টি করে যাচ্ছিলেন তিনি।’’ তিন বছর পূর্তিতে সরকারের বিজ্ঞাপনে ছাড়পত্র দিতেও তিনি আপত্তি করেন বলে অভিযোগ।
সার্ভিস নিয়ম বলে, সরকার যে দলেরই হোক, আমলারা নিরপেক্ষ থাকবেন। অথচ বহু আমলাই যে শাসক দলের ধামাধরায় পরিণত হন, মানছেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার জহর সরকার। তাঁর মতে, ‘‘বহু ক্ষেত্রেই আমলা বা পুলিশের বড়কর্তারা
শাসক দলের জামা পরে ফেলেন। যদিও সরকার পাল্টালেই, বিশ্বস্ততা বদলে ফেলেন সুযোগসন্ধানীরা।’’ মোদী সরকারেই মন্ত্রী রয়েছেন প্রাক্তন আইএএস অ্যালফন্স কান্নানথানাম, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সত্যপাল সিংহ, প্রাক্তন আইএফএস হরদীপ সিংহ পুরিরা। তাঁদের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা পূরণেই শাসক দলের প্রতি আনুগত্য রেখে তাঁরা চলতে বাধ্য হন বলেই মত একাধিক প্রাক্তনের।