Delhi Assembly Election 2020

ভাঁড়ার শূন্য, তবু দিল্লিতে হার দেখছে না কংগ্রেস

রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির মতে, তিনবারে মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বিকল্প খুঁজতে ব্যর্থ তাঁর দল। আমি আমার বন্ধুদের, টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধিদের, রাজ্যসভায়- সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলাম ১৫টি আসন পেতে পারে বিজেপি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:৩৩
Share:

সংসদ ভবনের পথে রাহুল গাঁধী। পিটিআই

দিল্লি নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েও ব্যর্থতার ছাপ নেই কংগ্রেস নেতাদের চোখেমুখে। বরং আশাই দেখছেন তাঁরা। বলছেন, বড় ব্যবধানে কেজরীর এগিয়ে থাকাই পরিষ্কার করে দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে মানুষ। মেরুকরণের রাজনীতি ধাক্কা খেয়েছে।

Advertisement

লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমরা কেজরীবালকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, এই ভোটে কংগ্রেস খালি হাতে ফিরবে, কিন্তু জিততে চলেছে উন্নয়নমুখী দল।’’নিরাশ হতে রাজি নন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও। তবে ফলাফলে সাংগঠনিক দুর্বলতা স্পষ্ট হচ্ছে, মনে করছেন তিনি। এ দিন তিনি বলেন,‘‘আমরা নির্বাচনকে যুদ্ধ করে তুলতে পারিনি। যদি ভোট ভাগাভাগিই হবে তবে জোট হল না কেন, এ বিষয়ে আমি কথা বলব শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে।’’ তবে ব্যাকফুটে আছেন এমনটাও মানতে রাজি নন প্রদীপ। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপির পরাজয়ে, আপের উত্থানে আমাদের ক্ষতি নেই। ধর্মান্ধদের পরাজয় হয়েছে। আপের এই জয় সংহত ভারতের ভবিষ্যত তৈরি করবে।’’

রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির মতে, তিনবারে মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বিকল্প খুঁজতে ব্যর্থ তাঁর দল। আমি আমার বন্ধুদের, টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধিদের, রাজ্যসভায়- সুপ্রিম কোর্টে
বলেছিলাম ১৫টি আসন পেতে পারে বিজেপি। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ভাল কাজ করেছে আর। কংগ্রেসের উচিত আগামী চার বছর শীলা দীক্ষিতের বিকল্প অন্বেষণ করা।

Advertisement

অভিষেক মনু সিংভির টুইট:

২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও দিল্লিতে খারাপ ফল করেছিল কংগ্রেস। কেজরী ঝড়ে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল শীলা দীক্ষিতের দল। এবারও কোনও কেন্দ্রেই এগিয়ে নেই কংগ্রেস। তবে ভোট কাটাকাটির খেলায় কংগ্রেসের উপস্থিতির গুরুত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। তাঁদের দাবি, ওখলা, বাল্লিমরনের মতো আসনে বিজেপি ভাল ফল আশা করেছিল। কিন্তু ভোট কেটে সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে কংগ্রেসই। বাল্লিমারান কেন্দ্রের প্রার্থী হারুন ইউসুফের প্রচারের জেরেই বিজেপি ওই অঞ্চলে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

আরও পড়ুন:ধর্মীয় মেরুকরণ নয়, উন্নয়নেই আস্থা রাখল দিল্লি
আরও পড়ুন: গেরুয়া ফাঁদে পা দিতে গিয়েও সামলে নেন কেজরী, টেনে ধরেছিলেন পিকে?

তবে ব্যর্থতা ঢাকতে রাজি নন দিল্লির কংগ্রেস শীর্ষনেতা সন্দীপ দীক্ষিত। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দিল্লি ইউনিটের শৈথিল্যকে দায়ী করছেন। সংবাদসংস্থাকে তিনি জানান, সংগঠনের বড় মাথারা আগাগোড়া প্রচারে শিথিলতা দেখিয়েছেন। তারই ফল পাওয়া যাচ্ছে ভোটগণনায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন