Delhi Education

নির্দিষ্ট দোকান থেকে বই কিনতে বাধ্য করা যাবে না! নয় বাড়তি চাপ, স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিল্লিতে

বিশেষ বিশেষ দোকান থেকে ছাত্রছাত্রীদের বইখাতা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি আর্থিক বোঝা। এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ২১:১৫
Share:

পড়ুয়াদের বাড়তি আর্থিক চাপ না-দেওয়ার নির্দেশ দিল্লি সরকারের। —ফাইল চিত্র।

বিশেষ বিশেষ দোকান থেকে ছাত্রছাত্রীদের বইখাতা কিনতে বাধ্য করা যাবে না। পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও বাড়তি জিনিস কিনতে চাপ দেওয়া যাবে না। বার বার স্কুলের পোশাকের ধরন বদলানো যাবে না। দিল্লিতে বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য এমনই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দফতর (ডিরেক্টরেট অফ এডুকেশন, দিল্লি)। এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। তার মাঝেই কড়া পদক্ষেপ করল সরকার।

Advertisement

দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী আশীষ সুদ সমস্ত বেসরকারি স্কুলের প্রধানদের সতর্ক করেছেন। কোন ক্লাসের পড়ুয়াদের কোন কোন বই কিনতে বলা হচ্ছে, পড়াশোনা সংক্রান্ত বাড়তি কী সরঞ্জাম কিনতে বলা হচ্ছে, তার সম্পূর্ণ তালিকা সংশ্লিষ্ট স্কুলের ওয়েবসাইটে তিনি আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে সকলে তা দেখতে পান এবং গোটা প্রক্রিয়ায় যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।

দিল্লি সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী—

Advertisement
  • বই, খাতা, অন্যান্য শিক্ষা সরঞ্জামের তালিকা এবং স্কুলের পোশাক সংক্রান্ত নির্দেশিকা স্পষ্ট করে স্কুলের নোটিস বোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে হবে। ওই তালিকা স্কুলের ওয়েবসাইটেও আপলোড করতে হবে। একই সঙ্গে কোন কোন দোকান থেকে এই জিনিসপত্র কেনা যাবে, তা-ও জানাতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। একাধিক দোকানের নাম তালিকায় রাখতে বলা হয়েছে, যাতে অভিভাবকেরা ইচ্ছামতো দোকান থেকে জিনিস কিনতে পারেন।
  • স্কুলের বই, পোশাক বা অন্য সরঞ্জাম নির্দিষ্ট দোকান থেকে কিনতে বাধ্য করা যাবে না। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের কোনও ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে সরকার।
  • স্কুলগুলি তাদের পোশাকের ধরন বার বার পরিবর্তন করতে পারবে না। অভিযোগ, অনেক স্কুল ঘন ঘন পোশাকের রং বা নকশা বদলায়। সরকারের নির্দেশ, এক বার যে ধরনের পোশাক ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে, অন্তত তিন বছর তা আর বদলানো যাবে না।
  • সিবিএসই বা আইসিএসই এবং রাজ্য সরকারি বোর্ডের নির্দেশিকা অনুযায়ী পড়ুয়াদের জন্য বইয়ের তালিকা প্রস্তুত করবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাড়তি বই বা সরঞ্জাম কিনতে বলা যাবে না।
  • বেসরকারি স্কুলের কোনও পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকদের উপর যাতে বাড়তি আর্থিক বোঝা চাপানো না-হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে স্কুলপ্রধানদের। যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুই কিনবেন তাঁরা। এই নির্দেশিকা কোনও ভাবে অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে দিল্লি স্কুল শিক্ষা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
  • অভিভাবকদের পাশে থাকতে দিল্লি সরকারের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। স্কুলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁরা ওই নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন। এ ছাড়া, নোডাল অফিসারদের কাছেও অভিযোগ জানানো যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement