গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
তুরস্কের বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থা সেলেবির আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। ভারত-পাক সংঘাতের আবহে ভারতের ন’টি বিমানবন্দরে কার্গো ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বা ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত ‘সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিল করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে দিল্লি হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল তুরস্কের সংস্থাটি। কিন্তু সোমবার দিল্লি হাই কোর্ট কেন্দ্রের পদক্ষেপের উপর হস্তক্ষেপের আর্জি নাকচ করেছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’-পরবর্তী সংঘাতপর্বে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোগানের সরকারের বিরুদ্ধে। সেই আবহে গত মে মাসে সেলেবির সঙ্গে কার্গো ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছিল কেন্দ্র। তার পরেই দিল্লি হাই কোর্টে সেলেবি অভিযোগ আনে, কোনও নোটিস ছাড়াই একতরফা ভাবে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে নয়াদিল্লি। জাতীয় সুরক্ষার নামে ভাসা ভাসা যুক্তি দেখানো হয়েছে। আবেদনকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানিয়েছিলেন, হঠাৎ এ ভাবে চুক্তি বাতিল করলে ৩৭৯১ জন কর্মী চাকরি হারাবেন। পাশাপাশি তাদের সংস্থায় বিনিয়োগকারীদের মনোবলের উপর প্রভাব পড়বে। গত ১৭ বছর ধরে কোনও অভিযোগ ছাড়াই সেলেবি কর্তৃপক্ষ ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-সহ নানা পরিষেবা সংক্রান্ত কাজ করে চলেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
অন্য দিকে, শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দিয়েছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই অসামরিক বিমান চলাচল নিরাপত্তা নজরদারি সংস্থা ‘ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি’ (বিসিএএস) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি, ওই সংস্থার পরিষেবা অব্যাহত রাখা বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক।’’ দু’তরফের যুক্তি শোনার পরে গত ২৩ মে বিচারপতি শচীন দত্ত রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। সোমবার সেলেবির আবেদন খারিজ করলেন তিনি। বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘‘‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত রয়েছে এমন ক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।’’