অভিন্ন দেওয়ানি বিধি: আর্জি শুনবে হাইকোর্ট

আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরির আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁর আর্জির বিরোধিতা করে ওই মামলায় পক্ষ হওয়ার আবেদন জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১৭
Share:

দিল্লি হাইকোর্ট।

অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া তৈরির জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশ চেয়ে আইনজীবী অভিনব বেরির জনস্বার্থ মামলা শুনতে রাজি হল দিল্লি হাইকোর্ট।

Advertisement

আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরির আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁর আর্জির বিরোধিতা করে ওই মামলায় পক্ষ হওয়ার আবেদন জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ড। মুসলিম ল’বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, উপাধ্যায়ের আবেদন আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। উপাধ্যায়ের আর্জির সঙ্গেই বেরির আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। সব সম্প্রদায়ের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছে বিজেপি।

আজ দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেল ও বিচারপতি সি হরির বেঞ্চে আইনজীবী অভিনব বেরির আর্জির কথা উল্লেখ করা হয়। ওই আর্জিতে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বলা হয়েছে। তা ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সামিল নয়। কোনও সভ্য সমাজে ধর্ম ও ব্যক্তির অধিকার সংক্রান্ত আইনের মধ্যে যোগ থাকে না। সংবিধানে বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তাতে ব্যক্তির অধিকার সংক্রান্ত আইন থেকে ধর্মকে আলাদা করার কথাও বলা হয়েছে। বিবাহ, সম্পত্তির অধিকার সংক্রান্ত আইনে ধর্মের প্রভাব থাকার বিধান সংবিধানে নেই। তুরস্ক, মিশরের মতো মুসলিমপ্রধান দেশেও সামাজিক সম্পর্ক, সম্পত্তির অধিকার সংক্রান্ত আইনে ধর্মের প্রভাব নেই। আইনজীবী বেরির আর্জি অনুযায়ী, সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর না করলে লিঙ্গবৈষম্য দূর করা ও মহিলাদের সম্মান সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই হাইকোর্টের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরির খসড়া তৈরির জন্য একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন বা উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরির নির্দেশ দেওয়া।

Advertisement

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি হলে তা দেশের প্রতি নাগরিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বাতিল হবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিধি ও প্রথার উপরে ভিত্তি করে তৈরি সামাজিক সম্পর্ক ও সম্পত্তির অধিকার সংক্রান্ত আইনগুলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন